World Cup: প্রথম ম্যাচে কাতারকে ২-০ গোলে উড়িয়ে অভিযান শুরু করল ইকুয়েডর

দীর্ঘ চার বছরের অপেক্ষা শেষ। শুরু হয়ে গেল ফুটবল বিশ্বকাপ (World Cup)। বহু বিতর্ককে সঙ্গী করেই বিশ্বকাপের ঢাকে কাঠি পড়ল। উদ্বোধনী ম্যাচে আয়োজক দেশ কাতারকে…

Ecuador started their campaign by defeating Qatar 2-0 in the first match of the World Cup

দীর্ঘ চার বছরের অপেক্ষা শেষ। শুরু হয়ে গেল ফুটবল বিশ্বকাপ (World Cup)। বহু বিতর্ককে সঙ্গী করেই বিশ্বকাপের ঢাকে কাঠি পড়ল। উদ্বোধনী ম্যাচে আয়োজক দেশ কাতারকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে যাত্রা শুরু করল ইকুয়েডর। প্রথমবার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হল আয়োজক দেশকে। ইকুয়েডরের অধিনায়ক এনার ভ্যালেন্সিয়ার দাপটে শেষ হয়ে গেল কাতার। জোড়া গোল করে দেশকে জেতালেন তিনি। বিশ্বকাপের মঞ্চে সব মিলিয়ে চারটি গোল এসেছে তাঁর বুট থেকে।

টুর্নামেন্টের বল গড়ানোর আগেই একরাশ বিতর্কে জড়িয়েছিল আয়োজক দেশ। টাকার বিনিময়ে কাতারকে ম্যাচ ছেড়ে দেবে ইকুয়েডর, এই জল্পনায় বুঁদ হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। লাতিন আমেরিকার দেশটির কোচ গুস্তাভো আলফারো অবশ্য দলের ছেলেদের বলেছিলেন, কোনও কথায় কান দেওয়ার দরকার নেই। শুধু মাঠে নেমে নিজেদের কাজটা করতে হবে। ফিফা ক্রমতালিকায় ৪৪ নম্বরে রয়েছে ইকুয়েডর। আয়োজক দেশ কাতারের স্থান ৫০ নম্বরে। দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, এই আশাতেই স্টেডিয়াম ভরতি করে কাতারের ফুটবলপ্রেমীরা খেলা দেখতে এসেছিলেন। সারাক্ষণ নিজেদের দেশের হয়ে গলা ফাটিয়ে গেলেন তাঁরা। সংখ্যায় বেশ কম হলেও চোখে পড়েছেন ইকুয়েডরের সমর্থকরাও।

মাঠে নেমে কোচের কথা অক্ষরে অক্ষরেই মেনেছেন ভ্যালেন্সিয়ারা। মাত্র তিন মিনিটের মাথায় গোল করে ফেলেন তিনি। তবে ২০২২ বিশ্বকাপের প্রথম গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। এই ঘটনার পরেই ইকুয়েডরের আক্রমণের ঝাঁজ বেড়ে যায়। ১৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। ৩১ মিনিটে ফের গোল। মাঠের ডানদিক থেকে ভেসে আসা বলে মাথা ছোঁয়ান ইকুয়েডরের অধিনায়ক। গোলকিপারের নাগাল এড়িয়ে গোলপোস্টের একদম কোণ ঘেঁষে বল জালে জড়িয়ে যায়। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক ভ্যালেন্সিয়া।প্রতিপক্ষের লাগাতার আক্রমণের সামনে কার্যত দাঁড়াতেই পারছিলেন না কাতারের ফুটবলাররা।

প্রথমার্ধের শেষদিকে অবশ্য গোলের একটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে কাতার। দ্বিতীয়ার্ধে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে আসে আয়োজক দেশ। গোলের চেষ্টাও করে তারা। তবে ইকুয়েডরের রক্ষণ টপকে গোলের মুখ খুলতে পারেনি কাতার। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের ইতিহাস বলে, আয়োজক দেশ অন্তত একটি গোল করে। কিন্তু সেই ধারা বজায় রাখতে পারল না কাতার। অন্যদিকে দু’গোলে এগিয়ে থেকেও আক্রমণের তীব্রতা এতটুকু কমায়নি ইকুয়েডর। গত দশ বছরে দেশের ফুটবলের উন্নতির জন্য প্রচুর ব্যয় করেছে কাতার। তবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তাদের দলের পারফরম্যান্স বেশ হতাশাজনক।