ডেম্পোর লড়াইয়ে ফের বড় চমক, ডার্বির আগে চাপ বাড়ল সবুজ-মেরুনের!

mohun-bagan-vs-dempo-sc-goalless-draw-in-super-cup-ahead-kolkata-derby

ইস্টবেঙ্গলের পর এবার মোহনবাগানকেও (Mohun Bagan) আটকে দিল ডেম্পো। মঙ্গলবার সুপার কাপের ম্যাচে মোহনবাগান এবং ডেম্পোর মুখোমুখি লড়াইটি শেষ হয় ০-০ গোলে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডেম্পো তাদের অটল প্রতিরক্ষা লাইন অক্ষুণ্ণ রেখেছিল। এদিন মোহনবাগানের আক্রমণকে কার্যত নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিল।

Advertisements

মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা ছিলেন সব ধরনের আক্রমণাত্মক অস্ত্রময়। কামিংস, ম্যাকলারেন, রবসন, পেত্রাতোস প্রত্যেকে মাঠে নামিয়ে নিজের দলের সমস্ত শক্তি ব্যবহার করলেও ভারতীয় দলের নাছোড় রক্ষণকে ভাঙতে পারেননি। ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ই বল নিয়ন্ত্রণে রাখলেও শেষ থার্ডে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন সবুজ-মেরুনের খেলোয়াড়রা। উইং থেকে একের পর এক ক্রস আসলেও বক্সে ডেম্পোর খেলোয়াড়দের ব্লক কার্যকর হয়েছিল।

   

ডেম্পোর কিপার এবং ডিফেন্ডাররা একদম প্রাণপণ লড়াই করেছেন। মোহনবাগানরাই যখন কিছু সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিল, তখন আশিস রাই, কামিংসরা গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন। বিশেষ করে মনবীর একের বিরুদ্ধে এক সুযোগ নষ্ট না করলে হয়তো ফলাফলের চিত্র মোহনবাগানের পক্ষে হত। যদিও রবসন এবং দিমিরাও কিছু সুযোগ নষ্ট করেছিলেন, যা খেলার ফলকে সমতাবস্থা রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

মন্থা ঘূর্ণিঝড়ে রেলের সতর্কতা জারি, ঘোষণা ট্রেনের নতুন সময়সূচি

ডেম্পোর এই ড্র কেবল মোহনবাগানের নয়, বরং কলকাতা ফুটবল ভক্তদের জন্যও চমক। ন’ বছর আগে ভারতীয় ফুটবলের প্রধান ধারা থেকে সরে গিয়েছিল ডেম্পো। পাঁচবারের ভারতসেরা ক্লাব হিসেবে তাদের পুনরাবর্তনের পথ দীর্ঘ এবং চ্যালেঞ্জিং। আই লিগে ফিরে আসার পর তারা ধীরে ধীরে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। এবারের সুপার কাপের ম্যাচে কলকাতার দুই প্রধান মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলকে আটকে দিয়ে ডেম্পো ফুটবল অঙ্গনে নিজের পরিচয় জানান দিয়েছে।

Advertisements

খাতায় কলমে মোহনবাগানের পক্ষেই ছিল। খেলায় অনেকাংশে আধিপত্য ছিল তাদের। কিন্তু আধিপত্য কেবল আকাশের মতোই দেখাচ্ছিল। মাঠে কার্যকারিতা দেখা যায়নি। ডেম্পোর অটল প্রতিরক্ষা, সময়মতো ব্লক এবং দ্রুত রক্ষণপন্থা সবুজ-মেরুন শিবিরের আক্রমণকে ব্যর্থ করে দিল। মাঠের খেলায় স্পষ্ট হয়, আধিপত্যের চেয়ে সুচিন্তিত প্রতিরক্ষা কতটা কার্যকর হতে পারে।

এই ফলাফলের মাধ্যমে মোহনবাগানের ওপর চাপ আরও বেড়েছে। ডার্বির আগে এমন অপ্রত্যাশিত ড্র তাদের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমালোচকেরা মনে করছেন, যদি এই আক্রমণাত্মক দল শেষ থার্ডে সুযোগ কাজে লাগাতে না পারে, তবে ডার্বিতে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।