বহুদিন অপেক্ষার পর এবার আইলিগ ট্রফি হাতে পেল ইন্টার কাশী ফুটবল ক্লাব (Inter Kashi FC)। একটা সময় চার্চিল ব্রাদার্সকে গত আইলিগের বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিল ইন্টার কাশী ফুটবল ক্লাব। শেষ পর্যন্ত বদলে যায় সমস্ত কিছু। লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা করা হয় বারাণসীর এই ফুটবল ক্লাবকে। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি উত্তর প্রদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। যারফলে সব ঠিকঠাক থাকলে দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগের নতুন সিজনে খেলতে দেখা যেতে চলেছে কাশীর এই দলকে। তবে এবারের সিজনের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি এই ফুটবল ক্লাবের।
ডুরান্ড কাপের পর সুপার কাপকে পাখির চোখ করেছিল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের ছেলেরা। প্রথম থেকেই প্রভাবশালী ফুটবল খেলে সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। পয়েন্ট নষ্ট করতে হয়েছে একের পর এক ম্যাচে। যারফলে সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ইন্টার কাশীর (Inter Kashi FC)। শনিবার সুপার কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল আইলিগের এই দলটি। যেখানে শেষ পর্যন্ত জামশেদপুর এফসি জয় পায়। তবে সেই হতাশা এক নিমেষেই ভুলিয়ে দিয়েছে গতবারের আইলিগ ট্রফি।
বহু আইনি জটিলতার পর অবশেষে ট্রফি পেয়েছে হাবাসের ছেলেরা। সেই নিয়ে খুশির আমেজে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছিল দলের সকল ফুটবলারদের। বাদ যাননি প্রাক্তন খেলোয়াড়রা। গতবার ইন্টার কাশীর (Inter Kashi FC) হয়েই দাপিয়ে খেলেছিলেন এডমুন্ড লালরিন্ডিকা। সেই সুবাদেই নজর কেড়েছিলেন সকলের। সবদিক মাথায় রেখেই নিজেদের দলের এই প্রাক্তন তারকাকে ফিরিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। বর্তমানে দল আলাদা হলেও এমন খুশির দিনে ইন্টার কাশীর (Inter Kashi FC) জার্সিতে দেখা গেল এডমুন্ডকে। এই দলের জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন মেডেল গলায় পড়ার পাশাপাশি আইলিগ জয়ের সেলিব্রেশনে ও মাততে দেখা যায় তাঁকে।
বর্তমানে সেই ছবি যথেষ্ট নজর কেড়েছে সকলের। এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন সার্থক গোলুই। বর্তমানে জামশেদপুর এফসির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এদিন দেখা যায় এই দাপুটে ডিফেন্ডারকে।


