গত কয়েক মরশুম ধরে একেবারেই ছন্দে নেই ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ব্রিগেড। প্রত্যেক বছর নতুন করে দল গঠন করা হলেও বারংবার মুখ পড়েছে লাল-হলুদ কর্তাদের। প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে কলকাতার এই প্রধান কে বারংবার টেক্কা দিয়েছে অন্যান্য ক্লাব গুলি। সেইসাথে রয়েছে টানা আটবার ডার্বি হারার যন্ত্রনা। যা নিয়ে একপ্রকার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় মতো অবস্থা ইস্টবেঙ্গল দলের।
তবে এবার সমস্ত কিছু ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া লাল-হলুদ। সেইমতো তাদের লগ্নিকারী সংস্থা তথা ইমামির তরফ থেকে গতবারের তুলনায় এবার বাজেট বাড়ানো হলেও তা একেবারেই যথেষ্ট নয়। যারফলে, কো স্পনসর খোঁজার পাশাপাশি ক্রাউডফান্ডিং চালু করা হয়েছে ক্লাবের তরফে।
তবে তাতেও এখনো পর্যন্ত সুরাহা আসেনি সম্পূর্ণ ভাবে। বিগত কয়েকদিন ধরে দলের একাধিক দেশি-বিদেশি ফুটবলারদের নাম ক্লাবের তরফ থেকে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হলেও এখনো আটকে দুই তরুণ প্রতিভার চুক্তিপত্র। যার অন্যতম কারন হিসেবে উঠে আসছে আর্থিক সমস্যা। যতদূর জানা গিয়েছে, দেশের দুই তরুণ ফুটবলার যথা রহিম আলি ও কেরালা দলের গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলের সঙ্গে কথাবার্তা সম্পূর্ণ চূড়ান্ত করে ফেলেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল দল।
তবে ম্যানেজমেন্টের একেবারে ভাড়ে মা ভবানী অবস্থা থাকায় আঁটকে গিয়েছে সমস্ত কিছু। বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে চেন্নাইন এফসির তরফ থেকে যে ট্রান্সফার ফি চাওয়া হয়েছে তা না পাওয়া গেলে রহিম আলির আসার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে ইস্টবেঙ্গলে। তবে রহিমের বিকল্প হিসেবে নাকি আরও এক দেশীয় স্ট্রাইকারের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছে কলকাতার এই প্রধান।
অন্যদিকে কেরালা ব্লাস্টার্স দলের অন্যতম প্রতিভাবান গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল কে পেতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতার এই প্রধান। জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত ভাবে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হতে নাকি কোনো রকমের আপত্তি নেই এই তারকার। তবে আর্থিক সমস্যার জেরে থমকে গিয়েছে সব।