ময়দানে বিদেশি ফুটবলার খেলিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল মোহন বাগান (Mohun Bagan)। কালের নিয়মে অন্য দেশের বহু ফুটবলার গায়ে তুলেছেন সবুজ মেরুন জার্সি। কেউ হারিয়ে গিয়েছে অচিরে। কেউ-বা এখনও সমর্থক বা ফুটবল প্রেমীদের নয়নের মণি।
Eduardo Chacon
ময়দানের ফুটবল প্রেমীদের কাছে তিনি ‘ডু’ নামে বেশি পরিচিত। ব্রাজিলিয়ান এই ডিফেন্ডার ছিলেন মোহন দুর্গের এক অতন্দ্র প্রহরী। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে তিনি জিতেছিলেন কলকাতা ফুটবল লিগ, ফেডারেশন কাপ, আইএফএ শিল্ড।
Francisco Gonzalez Munoz
কোচ কিবু ভিকুনার আমলে অন্যতম সেরা বিদেশি। দক্ষ ফুটবলার হওয়ার পাশাপাশি তিনি নেতৃত্ব দিতে পারতেন দলকে। ২০১৯-২০ মরশুমে বাগানকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি। মূলত রক্ষণের ফুটবলার হলেও করেছিলেন দশটি গোল।
Joseba Beitia
২০১৯-২০ মরশুমে মোহন বাগানের আই লিগ জয়ী দলের অন্যতম এক ফুটবলার। মাঝমাঠের শৈল্পিক ফুটবলার। শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে পঞ্চমবারের জন্য আই লিগ খেতাব জয়ের পিছনে অন্যতম কান্ডারী এই স্প্যানিশ মিডিও।
Jose Ramirez Barreto
ব্যরেটোর কথা না লিখলে অসমাপ্ত থেকে যাবে এই তালিকা। মোহন বাগান সমর্থকদের কাছে যিনি সবুজ তোতা। এগারোটা মরশুম তিনি কাটিয়েছেন বাগান তাঁবুতে। দুবার জাতীয় লিগ জয়ের পাশাপাশি জিতেছেন বহু ট্রফি।
Sony Norde
হাইতিয়ান ম্যাজিশিয়ান। সেট পিসের সময় ডাক পড়ত তাঁর। উইং দিয়ে দৌড়ে ঢুকে পড়তেন প্রতিপক্ষের বক্সে। মোহন বাগানে খেলেছেন ছয় মরশুম। জিতেছেন আইলিগ এবং ফেড কাপ।
Igor Shkvyrin
ভারতীয় ফুটবল মাত্র একটি মরশুমের জন্য পেয়েছিল উজবেকিস্তানের ইগোরকে। মোহন বাগানের হয়ে করেছিলেন ১১ টি গোল। হোসে রামিরেস ব্যারেটোর সঙ্গে জুটি বেঁধে তাসের ঘরের মতো ভেঙে দিতেন বিপক্ষের রক্ষণভাগ। ১৯৯৯-২০০০ মরশুমে মোহন বাগানের এনএফএল জয়ের অন্যতম কারিগর তিনি।
Katsumi Yusa
মোহন জনতার নয়নের মণি ছিলেন কতসুমি ইউসা। তাঁর সময়কালে সবুজ মেরুন তাঁবুতে এসেছিল বসন্ত। ২০১৪-১৫ মরশুমে ধারাবাহিকভাবে খেলে গিয়েছিলেন জাপানের এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। ২০১৫-১৬ ফেড কাপ জিতেছিলেন মোহন বাগানের হয়ে। পরে তিনি খেলেছেন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড, ইস্টবেঙ্গল, নেরোকা, চেন্নাই সিটি এফসিতে।