বৃথা লড়াই, আল-জাওরার কাছে পরাজিত হয়ে এসিএল শুরু করল গোয়া

কাজে এল না লড়াকু পারফরম্যান্স। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পর এবার নিজেদের হোম ম্যাচ পরাজিত হয়েই এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ টায়ার টুয়ের (AFC Champions League Two) অভিযান…

FC Goa Fall 2-0 to Al Zawraa in AFC Champions League Two Opener at Fatorda

কাজে এল না লড়াকু পারফরম্যান্স। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পর এবার নিজেদের হোম ম্যাচ পরাজিত হয়েই এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ টায়ার টুয়ের (AFC Champions League Two) অভিযান শুরু করল মানোলো মার্কুয়েজের এফসি গোয়া (FC Goa)। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বুধবার সন্ধ্যায় ফতোরদা স্টেডিয়ামে এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বোরহা হেরেরাদের দল। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল ইরাকের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব আল-জাওরা। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় ইরাকের এই শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব।

Also Read | ইস্টবেঙ্গলে জাপানি ঝলক, দিমির জায়গায় এলেন হিরোশি ইবুসুকি

   

দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে রেজিক বানি হানি এবং নিজার আল-রাশদান। তাঁদের গোল সম্পূর্ণভাবে বদলে দেয় ম্যাচের ফলাফল। যারফলে সবুজ-মেরুনের পর এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে ধাক্কা খেল ভারতের আরেক শক্তিশালী দল। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। উল্লেখ্য, কঠিন প্রতিপক্ষ জানা সত্ত্বেও এদিন প্রথম থেকেই যথেষ্ট ভয়ডরহীন ফুটবল খেলতে দেখা গিয়েছিল ইকের গ্যারেক্সোনাদের। সুযোগ বুঝেই তাঁদের আক্রমণ যথেষ্ট চাপে রেখেছিল প্রতিপক্ষ দলকে। তারপর বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ এসেছিল আইএসএলের এই দলের কাছে।

Also Read | বিশ্বকাপের আগে স্মৃতি ঝড়ে কুপোকাত অজিরা, ইতিহাস গড়ল ভারত

Advertisements

কিন্তু আল-জাওরার ডিফেন্ডারদের অতিক্রম করে গোলের মুখ খোলা যথেষ্ট কষ্ট সাধ্য ছিল তাঁদের কাছে‌। এসবের মাঝেই প্রথমার্ধের শেষ কোয়ার্টারে ঘটে অঘটন। ম্যাচের ঠিক ৪৪ মিনিটের মাথায় রেজিক হানির গোলে এগিয়ে যায় ইরাকের এই ফুটবল দল। যা নিঃসন্দেহে চাপে ফেলে দিয়েছিল গোয়া শিবিরকে। তবে প্রথমার্ধে গোল হজম করার পর দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল দেজন ড্রাজিচরা। কিন্তু সেটা খুব একটা সহজ একেবারেই ছিল না ভারতের এই ফুটবল ক্লাবের জন্য। তবুও দাঁতে দাঁত চেপে প্রায় গোটা ম্যাচ ধরে লড়াই করে এফসি গোয়া।

মাঝে বেশ কয়েকবার গোলের পরিস্থিতি তৈরি করেছিল আল-জাওরা। তবে গোলরক্ষক হৃত্বিক তিওয়ারির পাশাপাশি ডিফেন্ডারদের সক্রিয়তায় নিয়ন্ত্রণে এসেছিল পরিস্থিতি। কিন্তু ম্যাচের লগ্নে অর্থাৎ অতিরিক্ত ৫ মিনিটে গোয়ার সমস্ত আশা শেষ করে দেয় নিজার রাশদানের গোল। বলা যায় গোটা ম্যাচ দাপিয়ে খেলার পরে ও কয়েক মুহূর্তের অসাবধানতা বদলে দেয় ম্যাচের ফলাফল।