ভুয়ো IPL ম্যাচের পর্দাফাঁস করল পুলিশ

রমরমিয়ে চলছিল ভুয়ো আইপিএল (IPL) ম্যাচ। খবর পেয়ে গুজরাট (Gujarat)-এর একটি গ্রামে পৌঁছাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পুলিশের। জানা গিয়েছে মেহসানা জেলার মলিপুর গ্রামের প্রত্যন্ত…

রমরমিয়ে চলছিল ভুয়ো আইপিএল (IPL) ম্যাচ। খবর পেয়ে গুজরাট (Gujarat)-এর একটি গ্রামে পৌঁছাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পুলিশের। জানা গিয়েছে মেহসানা জেলার মলিপুর গ্রামের প্রত্যন্ত মাঠে চলছিল ভুয়ো আইপিএল। সেই ম্যাচ ‘নকআউট কোয়ার্টার ফাইনালে’ পৌঁছয়। এরপর এই তথাকথিত ‘ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ’-এর আয়োজকদের হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ।

Advertisements

এই ‘আইপিএল’ ম্যাচে রাশিয়ার ট্যাভার, ভোরোনেজ এবং মস্কো শহরের কিছু মানুষ পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ। ‘আইপিএল’ নামে ওই ম্যাচ সম্প্রচারিত হয় ইউটিউব চ্যানেলে। এ কাজে গ্রামের ২১ জন কৃষি শ্রমিক ও বেকার যুবক-যুবতী যুক্ত ছিলেন। পালা করে চেন্নাই সুপার কিংস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও গুজরাত টাইটান্সের জার্সি পরেছিলেন সকলে। একজন কমেন্ট্রি অবধি করতেন যিনি হর্ষ ভোগলের মতো কথা বলতেন। তিনি পাঁচটি এইচডি ক্যামেরার সামনে আম্পায়ারিংও করেছিলেন, কিছু ওয়াকি-টকি দেখিয়েছিলেন, এবং প্রতারকরা ইন্টারনেট থেকে দর্শকে ভরা স্টেডিয়ামের ভিডিও অবধি জুড়ে দিত।

   

শোয়েব বলে একজন প্রতারক পুলিশকে জানায়, রাশিয়ার একটি পানশালায় কাজ করার সময় চোরের মূল চক্রী আসিফ মহম্মদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পানশালায় ক্রিকেটের সূক্ষ্মতার সঙ্গে রুশ বুকিদের পরিচয় করিয়ে দেন আসিফ। একবার মলিউডে ফিরে আসার পরে, শোয়েব সাদিক দাওদা, সাকিব, সাইফি এবং মোহাম্মদ ক্লুর সাথে জুটি বেঁধেছিলেন, যারা জাল আইপিএল ম্যাচে আম্পায়ারের ভূমিকা পালন করেছিলেন। মিরাটের বাসিন্দা সাকিব স্বেচ্ছায় ধারাভাষ্যকার হতে চেয়েছিলেন।

পুলিশ অফিসার ভবেশ রাঠোর বলেন, ‘৩ লক্ষ টাকার বাজির প্রথম কিস্তির টাকা রাশিয়া যখন ধরা পড়ে, তখনই দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, শোয়েব টেলিগ্রাম চ্যানেলে লাইভ বেটিং করতেন। ওয়াকিটকিতে চার-ছক্কা মারার জন্য আম্পায়ার ক্লুকে নির্দেশ দিত সে। ব্যাটসম্যান ও বোলারকে এটাই নির্দেশ দিত কোলু।’