স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতকে (Carles Cuadrat) ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই বদলে গিয়েছে সমস্ত কিছু। তার পছন্দ মত খেলোয়াড় হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ করে বিদেশি ফুটবলার নির্বাচনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখিয়েছিলেন কুয়াদ্রাত। যাদের মধ্যে ছিলেন জাভিয়ের সিভেরিও টোরো থেকে শুরু করে সাউল ক্রেসপো, বোরহা হেরেরা ও অ্যান্তোনিও পার্দো লুকাসের মতো তারকা।
এছাড়াও অজি ফুটবলার জর্ডন এলসিকে আনেন এই স্প্যানিশ হাইপ্রোফাইল। এই নতুন টিম নিয়ে মরশুমের শুরু থেকেই একেবারে অনবদ্য ছন্দে চলে আসে লাল-হলুদ ব্রিগেড। যার দরুন ডুরান্ড কাপ ফাইনাল খেলে ইস্টবেঙ্গল। চূড়ান্ত সাফল্য না হলেও খেলোয়াড়দের সক্রিয়তা যথেষ্ট নজর কেড়েছিল সকলের।
পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শুরুটা তাদের জন্য খুব একটা সুখকর না থাকলেও কলিঙ্গ সুপার কাপ থেকে বদলাতে থাকে গোটা পরিস্থিতি। নতুন বছরের শুরু থেকেই জয়ের সরনীতে আসে দল। হায়দরাবাদ এফসি থেকে শুরু করে পরবর্তীতে শ্রীনিধি ডেকান এবং মোহনবাগান সুপারজায়ান্টসের মত দলকে অতি সহজেই পরাজিত করে দেয় কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। সেখান থেকে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল।
তারপর ওডিশা এফসিকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। তবে এবার আইএসএলের দ্বিতীয় লেগ থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। এক্ষেত্রে নিজেদের দলের বেশকিছু বদল এনে শক্তি বৃদ্ধি করাই অন্যতম লক্ষ্য তাদের। তবে এবারের এই উইন্টার ট্রান্সফার ইউন্ডোতে নতুন ভারতীয় ফুটবলার না নেওয়ায় যথেষ্ট চাপে ছিল সকলে।
এই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন লাল-হলুদ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। তিনি বলেন, সায়ন ব্যানার্জীর পাশাপাশি পিভি বিষ্ণুর মতো খেলোয়ারদের নিয়ে আমি যথেষ্ট খুশি। ওরা দেশীয় ফুটবলের ভবিষ্যত। আমি খুশি যে এবারের উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন করে কোনো ভারতীয় ফুটবলারদের নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। তাদের মধ্যে আমি তেমন কিছু দেখিনি। আমাদের অ্যাকাডেমিতে ভালো কিছু ফুটবলার আছে। যাদের দলে আনতে পেরে আমি অনেকটাই খুশি।