চমক অব্যাহত মোহনবাগানের (Mohun Bagan)। গত ফুটবল মরশুমে হিরো আইএসএলের শুরুটা খুব একটা ভালো না হলেও পরবর্তীতে সকলকে চমকে দিয়ে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তারপর নিজেদের ঘরের মাঠে ওডিশা এফসিকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে স্থান করে নেয় কলকাতার এই প্রধান।
তারপর দুটি লেগে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে ট্রাইবেকারে ওগবেচেদের হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে যায় এটিকে মোহনবাগান দল। তবে নির্ধারিত সময়ের শেষে সমান থাকে ফাইনাল ম্যাচের ফলাফল। অগত্যা ট্রাইবেকারে চলে যায় খেলা। সেখানে সুনীল-গুরপ্রীতদের পরাজিত করে ট্রফি জিতে নেয় মোহনবাগান। পাশাপাশি এএফসি কাপে খেলার ছাড়পত্র ও উঠে আসে তাদের কাছে।
তবে গোটা মরশুম জুড়ে একজন দক্ষ স্ট্রাইকারের অভাব প্রচন্ড ভুগিয়েছে মেরিনার্সদের। হুগো বুমোস থেকে শুরু করে দিমিত্রি পেত্রাতোসের মতো ফুটবলার দলে থাকলেও আদতে স্ট্রাইকার নন তাদের কেউ। যারফলে, বহু ভাইটাল ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের। সেকথা মাথায় রেখেই এবারের এই নতুন ফুটবল মরশুম শুরু করার আগে অজি বিশ্বকাপার জেসন কামিন্সকে চূড়ান্ত করে এই প্রধান। শেষ ফুটবল মরশুমে অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট্রালকোস্ট মেরিনার্সের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। পেয়েছেন চূড়ান্ত সাফল্য। তাছাড়া দুইটি মরশুম মিলিয়ে বহু গোল রয়েছে তার ঝুঁলিতে। এমন হাইপ্রোফাইল ফুটবলারকে দলে চূড়ান্ত করাটা যে বড়সড় চমক তা কিন্তু বলাই চলে।
তবে সেখানেই শেষ নয়। পরবর্তীতে ইউরোপা লিগ খেলা ফুটবলার আর্মান্দো সাদিকুকে ও টানা হয়েছে এই দলে। যা একটাসময় হইচই ফেলে দিয়েছিল দল বদলের বাজারে। তাছাড়া দেশীয় ফুটবলারদের মধ্যে অনিরুদ্ধ থাপা থেকে শুরু করে সাহাল আবদুল সামাদের মতো ফুটবলারদের দলে আসায় আগত ফুটবল মরশুমে যেন চূড়ান্ত শক্তিশালী হয়ে উঠতে চলেছে কলকাতার এই প্রধান।
এছাড়াও, পুরোনো নাম বদলে গিয়ে এসেছে নতুন নাম। মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস। কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে সেই লোগো। কিন্তু কেমন হতে পারে দলের জার্সি? তা জানার অপেক্ষায় ছিল আপামর বাগান জনতা। কিছুদিন আগেই দলের জার্সি নির্বাচনের বিষয় বিশেষ ঘোষণা করা হয়েছিল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে। যতদূর খবর, আগামীকাল দুপুর ১২ টা বেজে ৩০ মিনিটে কলকাতার আরপিএসজি অফিস থেকে উন্মোচিত হতে চলেছে মরশুমের নতুন জার্সি।