স্পোর্টস ডেস্ক: একসময় বিভিন্ন ম্যাচে ভরসা দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলকে। পেশাদার খেলা থেকে অবসর নিলেও খেলা তাঁকে ছাড়েনি। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল আরেকটি নাম, ‘রাজনীতি’। গোয়ায় সর্বভারতীয় কংগ্রেসে যোগ দিলেন অ্যালভিটো ডি কুনহা।
আরও পড়ুন বার্সেলোনার নতুন ভরসা আনসু ১০ ফাতি
প্রাক্তন ফুটবলারের রাজনীতিতে আসায় গোয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন (২০১৪-২০১৮) প্রেসিডেন্ট গোমস জানিয়েছেন, ‘অ্যালভিটোর যোগদান কংগ্রেসের শক্তিকে আরও উদ্বুদ্ধ করবে। আমি চাই কংগ্রেসে আরও ক্রীড়াবিদ যোগদান করুক।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের কেরিয়ারে জাতীয় দলের পাশাপাশি একাধিক ক্লাবের জার্সিতে খেলেছেন অ্যালভিটো। সেলসেটে এফসি ক্লাব থেকে প্রাথমিকভাবে ফুটবলে হাতেখড়ি শুরু করেন। এরপর তিনি ১৯৯৭ সালে সেসা গোয়া ক্লাবে যোগ দেন। এর ২ বছর পর তিনি সালগাওকার এসসি ক্লাবে যোগ দেন। ২০০২ সালে আসেন ইস্টবেঙ্গলে। অ্যালভিটো গোয়ার প্রথম ফুটবলার হিসেবে কলকাতার কোনও ক্লাবে খেলেছিলেন।
আরও পড়ুন মমতাও হেরেছেন বলেই আবার ভোটে লড়ছেন, এন্টালিতে প্রিয়ঙ্কার হার প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ তথাগতর
অবসর নিলেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে তিনি। দল গঠন কিংবা জুনিয়র ফুটবলারদের বাছা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল অ্যালভিটোর। লাল হলুদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও ছিলেন তিনি। এর আগে ময়দানের বহু ফুটবলার সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছেন। প্রসূন ব্যানার্জি, দীপেন্দু বিশ্বাস, বাইচুং ভুটিয়ারা তার বড় উদাহরন। রাজ্যের চলতি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে মানিকতলা কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন প্রাক্তন গোলকিপার কল্যাণ চৌবে। ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্যও। এবার রাজনীতির সেই তালিকায় যুক্ত হল অ্যালভিটোর নামও।
গোয়া প্রদেশ কংগ্রেসে যোগ দিয়ে অ্যালভিটো জানিয়েছেন, “আমি চেষ্টা করব, খেলাকে আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। ফুটবল ছাড়াও অন্য খেলাকেও আমি একইভাবে গুরুত্ব দেব। ক্রীড়াক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নই আমার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই রাজনীতিতে এসেছি।” পরবর্তী নির্বাচনেও তিনি কংগ্রেসের প্রতীকে অংশগ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন অ্যালভিটো।