ইংল্যান্ডে খেলা ফুটবলারকে দলে টেনে চমক দিল অস্কার ব্রুজোর প্রাক্তন ক্লাব

ইংলিশ ফুটবলের (England Football)পর্ব আপাতত বন্ধ করে নতুন এক অধ্যায়ে পা রাখছেন কিউবা মিচেল ( Cuba Mitchell)। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই তরুণ মিডফিল্ডার খেলবেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার…

England based footballer Cuba Mitchell has joined Bangladesh Premier League club Bashundhara Kings

ইংলিশ ফুটবলের (England Football)পর্ব আপাতত বন্ধ করে নতুন এক অধ্যায়ে পা রাখছেন কিউবা মিচেল ( Cuba Mitchell)। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই তরুণ মিডফিল্ডার খেলবেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (Bangladesh Premier League)। যদিও বর্তমান রানার্সআপ দল বসুন্ধরা কিংসের (Bashundhara Kings) হয়ে। ১৯ বছর বয়সী মিচেল তিন বছরের চুক্তিতে বসুন্ধরা কিংসে যোগ দিয়েছেন। আগামী ১২ আগস্ট এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে তার অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিন আন্তর্জাতিক প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই কিংসের জার্সিতে মাঠে নামবেন তিনি।

মিচেলের জন্ম ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে। মা বাংলাদেশের এবং বাবা জ্যামাইকান। শৈশব থেকেই ফুটবলের প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল তার। ফুটবল ক্যারিয়ারের সূচনা বার্মিংহাম সিটি একাডেমিতে। সেখান থেকে নিজের প্রতিভা দিয়ে নজর কাড়েন এবং ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নশিপ ক্লাব সান্ডারল্যান্ডে যোগ দেন। সেখানে অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলেছেন নিয়মিত।

   

বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার আগ্রহ বহুদিন ধরেই ছিল মিচেলের। বিশেষ করে জাতীয় দলের আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরীর সঙ্গে লাল-সবুজ জার্সিতে মাঠে নামার স্বপ্ন দেখেন তিনি। সেই লক্ষ্যে একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্টও গ্রহণ করেছেন ইতিমধ্যে।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ইতিমধ্যে ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে তার পক্ষ থেকে আবেদন করেছে। ফিফা অনুমতি দিলেই মিচেল জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাতে পারবেন। যদিও এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময়সীমা বলা যাচ্ছে না, তবে আশা করা হচ্ছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ফিফার অনুমোদন পাওয়া যাবে।

বসুন্ধরা কিংস বরাবরই বড় তারকা কিংবা সম্ভাবনাময় ফুটবলারদের দলে টানায় সিদ্ধহস্ত। কিউবা মিচেলকে নিয়ে আসার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ক্লাবের সভাপতি ইমরুল হাসান। তার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তরুণ এই মিডফিল্ডারকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।এ প্রসঙ্গে বসুন্ধরা কিংসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “মিচেল একজন প্রতিভাবান তরুণ। তার মধ্যে ইউরোপিয়ান স্টাইল ও টেকনিক্যাল দক্ষতার মিশেল রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, সে বাংলাদেশ ফুটবলে বড় অবদান রাখতে পারবে।”

Advertisements

মিচেল নিজেও বাংলাদেশে এসে খেলার সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত। সামাজিক মাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ফুটবলে নিজের যাত্রা শুরু করতে পেরে গর্বিত। আমি নিজের সর্বোচ্চটা দিতে চাই ক্লাব ও দেশের জন্য।”

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেকের সম্ভাবনায় উচ্ছ্বসিত ক্লাব কর্মকর্তারাও। তারা মনে করেন, মিচেলের অন্তর্ভুক্তি বসুন্ধরা কিংসকে কেবল ঘরোয়া নয়, এশিয়ান ফুটবলেও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এখন অপেক্ষা শুধু মিচেলের মাঠে নামার। তরুণ এই মিডফিল্ডারের পারফরম্যান্স বাংলাদেশের ফুটবলভক্তদের মাঝে নতুন আশা জাগাবে বলেই প্রত্যাশা বিশ্লেষকদের। ফিফা অনুমতি দিলেই জাতীয় দলের জার্সিতেও দেখা যাবে তাকে। যদিও এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।