গত কয়েকমাস আগে প্রকাশিত হয়েছে ডুরান্ড কাপের সময় সূচি। যেখানে অন্যান্য ম্যাচের থেকে কলকাতা ডার্বির দিকেই নজর ছিল সকলের। এই সূচি ঘোষণার পর থেকেই বড় ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা দেখা দিয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। শুরু হয়েছে দিন গোনা। গত ৩ আগস্ট থেকে মোহনবাগানও ৬ আগস্ট থেকে নিজেদের অভিযান শুরু করেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) দল।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সেনা দলের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে সবুজ-মেরুনের জয় আসলেও প্রথম ম্যাচে দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ও জয় আটকে গিয়েছে লাল-হলুদের। যা নিয়ে হতাশ দলের সমর্থকরা। তবে এবার সকলের নজর আগামী ১২ আগস্ট আয়োজিত হতে চলা ডার্বির দিকে। তবে ম্যাচের টিকিট নিয়ে দেখা দিয়ে সমস্যা।
গতকাল রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তরফ থেকে এই নিয়েই বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সবুজ-মেরুনের কর্তা দেবাশীষ দত্ত ও লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার। ডুরান্ড কমিটির তরফ থেকে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না লাল-হলুদ শিবির।
পরবর্তীতে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে টিকিট প্রসঙ্গে দেবব্রত সরকার বলেন, গত বছর ডুরান্ডের কথা মাথায় রেখে দুই ক্লাবকে নয় হাজার টিকিট দেওয়া হলেও এবার তা বদলে গিয়েছে। এক্ষেত্রে ক্লাবের তরফ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে টিকিট নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তাছাড়া ম্যাচের টিকিট যদি বেঁচে যায় তাহলে তার দায় থাকবে সেই ফুটবল ক্লাবের। যা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে লাল-হলুদের অন্দরে।
এই পরিস্থিতিতে আজ কর্মসমিতির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে ক্লাব তাঁবুতে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে এবারের ডুরান্ড কাপে মাঠে গিয়ে লাল-হলুদ কর্তারা আদৌ খেলা দেখবেন কিনা এখন সেটাই দেখার বিষয়। বলাবাহুল্য, গত ফুটবল মরশুমে বিরাট পরিমাণের টিকিট তুলে দেওয়া হয়েছিল দুই প্রধানকে। কথা মতো টিকিট বিক্রির পর আয়োজকদের হাতে সেই অর্থ তুলে দিয়েছিল ক্লাবের কর্তারা। তবে এবার কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এখন সেটাই দেখার বিষয়।