চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে (Champions Trophy 2025) কেন্দ্র করে পাকিস্তানের নিরাপত্তা (Pakistan Security Lapse) নিয়ে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে, রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরে কয়েকটি অপ্রত্যাশিত নিরাপত্তা ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলা চলাকালীন দর্শকদের মাঠে ঢুকে পড়া এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতি স্পষ্টভাবে বোঝাচ্ছে যে, আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
বুধবার আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের (England vs Afghanistan) মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি শেষ হওয়ার পর, যখন আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা তাদের জয় উদযাপন করছিলেন, তখন এক যুবক বেড়া টপকে মাঠে ঢুকে আসে। সে আফগান ক্রিকেটারদের দিকে ছুটে যায় এবং একজন ক্রিকেটারের গলা জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করে। এই দৃশ্যটি দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আসে এবং নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে পাকড়াও করে মাঠ থেকে বের করে দেয়। তবে এমন ঘটনা, যা প্রাথমিকভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থায় ঘাটতি প্রদর্শন করে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতীয় দলের পাকিস্তানে খেলতে না যাওয়ার সিদ্ধান্তটি যথার্থ ছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে ম্যাচের মাঝখানে বার বার খেলা থামাতে হতে পারে, যা খেলার স্বাভাবিক গতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারত।
এই ধরনের ঘটনা শুধু আফগানিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচেই ঘটেনি, তার আগের দিন নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ চলাকালীন এমন একটি ঘটনা ঘটে। রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ম্যাচ চলাকালীন এক দর্শক বিনা বাধায় মাঠে ঢুকে রাচিন রবীন্দ্রকে জড়িয়ে ধরেন এবং কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পর তাকে নিরাপত্তারক্ষীরা ধরতে সক্ষম হন। সেই দর্শক হাসতে হাসতে মাঠ থেকে বের হয়ে যান, যা স্পষ্টভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রমাণ দেয়। তার হাতে তেহরিক-ই-লব্বাইকের নেতা সাদ রিজভির ছবি ছিল, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বোর্ড (ICC) এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) যদি দ্রুত ও কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বা অন্য কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে আয়োজনের সিদ্ধান্ত ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাকিস্তানে ম্যাচ আয়োজনের আগে নিরাপত্তার দিকটি পুরোপুরি নিশ্চিত করা উচিত, যাতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তা খেলার উপর প্রভাব ফেলতে না পারে।
পাকিস্তান সরকার এবং পিসিবি যত দ্রুত সম্ভব নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী না করে, ততই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। এই ধরনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে, তবে ভবিষ্যতে বড় দলগুলোর পাকিস্তানে খেলা নিয়ে আরও বেশি অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বার্থের পক্ষে ভালো হবে না।