বহু অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত বছর জাতীয় স্তরের ট্রফি জিতেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। যা নিঃসন্দেহে খুশি করেছিল সমর্থকদের। নতুন মরসুমের শুরু থেকেই সেই ধারা বজায় রাখার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। ডুরান্ড কাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শুরু থেকে ভালো পারফরম্যান্স করার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। পরাজিত হতে হয়েছে টানা ছয়টি ম্যাচ। যা নিঃ সন্দেহে হতাশ করেছিল সকল সমর্থকদের। এমন পরিস্থিতিতে বদল করা হয় দলের কোচ। কার্লেস কুয়াদ্রাতের পরিবর্তে অস্কার ব্রুজনের হাতে তুলে দেওয়া হয় দলের দায়িত্ব।
তারপর থেকেই নিজেদের পুরনো ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। এএফসিতে ভালো পারফরম্যান্স করার পর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ও জয়ের সাধ পেয়েছিল ময়দানের এই প্রধান। কিন্তু সেটা বেশিদিন বজায় থাকেনি। পরবর্তীতে আরো বেশ কয়েকটি ম্যাচ হাতছাড়া হয় লাল-হলুদের। তার উপর রয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে টানা দুইটি ডার্বি ম্যাচ হারের ধাক্কা। এমন পরিস্থিতিতে কোচের সিদ্ধান্ত নিয়ে বারংবার উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। গত কয়েকদিন ধরেই সেই নিয়ে সরগরম নেট মাধ্যম।
এমনকি দলের প্রথম একাদশের ফুটবলার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোচের পরিকল্পনার পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে উঠে আসতে শুরু করেছিল ম্যানেজমেন্টের এক সদস্যের নাম। যা রীতিমতো চমকে দিয়েছিল সকলকে। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হতে শুরু করেছিল সমর্থকদের মধ্যে। যদিও সেটি সম্পূর্ণ স্পষ্ট নয়।
এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। বুধবার সন্ধ্যায় নিজেদের সোশ্যাল সাইটে সেই সম্পর্কিত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল।
যেখানে বলা হয়েছে, ” আমরা একটি ক্লাব হিসাবে প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাওয়ার মনোভাব পোষণ করি। যাইহোক, আমরা কখনও এমন কিছু সমর্থন করিনি যা ইকোসিস্টেমের কোনো স্টেকহোল্ডারের উপর ব্যক্তিগত আক্রমণ বলে মনে করা হয়। আমাদের সকলকে অবশ্যই একই মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। এক্ষেত্রে স্পোর্টিং স্পিরিটকে প্রাধান্য দিতে হবে। সেটির বিরুদ্ধে নয়।”