বছরের শুরুতেই সাত বছর পর কলকাতা ময়দানে জ্বলে উঠল মশাল!

বর্তমানে কলকাতা ফুটবল (Kolkata Football) ময়দানে উন্মাদনার অন্যতম এক নাম হল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। লাল-হলুদ শিবিরের জন্য একে একে আসা সাফল্য এবং ব্যর্থতার সঙ্গে…

East Bengal FC win CFL 2024 Title

বর্তমানে কলকাতা ফুটবল (Kolkata Football) ময়দানে উন্মাদনার অন্যতম এক নাম হল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। লাল-হলুদ শিবিরের জন্য একে একে আসা সাফল্য এবং ব্যর্থতার সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক গল্প রয়েছে, যা অনুরাগীদের মাঝে আলোচনার ঝড় তুলে থাকে। কিন্তু সাত বছর পর কলকাতা লিগের (CFL) শিরোপা আসছে লেসলি ক্লডিয়াস সরণির (Leslie Claudius Sarani) এই ক্লাবে। তবে এই জয় এসেছে এক অদ্ভুত পরিস্থিতিতে। ডায়মন্ডহারবার এফসি (Diamond Harbour FC)তাদের খেলোয়াড়দের মাঠে নামায়নি এবং ইস্টবেঙ্গল একরকম ওয়াকওভার পেয়েছে। এতে এই মরসুমের প্রথম ট্রফি অর্জন করতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল, অপেক্ষা শুধু সরকারি ভাবে ঘোষণার। যদিও পুরো বিষয়টি বিতর্কিত ও অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

   

কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গল ও ডায়মন্ডহারবারের ম্যাচটি নৈহাটিতে খেলার কথা ছিল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের কিছু আপত্তির কারণে ম্যাচটি কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে স্থানান্তরিত করা হয়। এর পরেও, ম্যাচে অংশ নিতে রাজি হয়নি ডায়মন্ডহারবার এফসি। তাদের দাবি ছিল, ১৬ ফেব্রুয়ারি তারা আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে, আর সেজন্য কলকাতা লিগের ম্যাচে অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। এদিকে, আইএফএ (IFA) রিলায়েন্স ডেভলপমেন্ট লিগের ম্যাচটি পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে, ডায়মন্ডহারবারের না আসার কারণে ইস্টবেঙ্গলকে ওয়াকওভার দেওয়া হয়। এর আগেও ইস্টবেঙ্গল ভবানীপুরের বিরুদ্ধে ওয়াকওভার পেয়েছিল।

ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের হতাশা

ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য অত্যন্ত গর্বিত, কিন্তু গত কয়েক মরসুমে ক্লাব অনেক বড় ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছে। সেবছর একমাত্র সাফল্য ছিল সুপার কাপ জয়, যা কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল সমর্থকদের। তবে আইএসএল-এর প্লে অফে যাওয়ার স্বপ্ন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের অনেক আগেই ভেঙে গেছে। এই মরসুমে, সেভাবে আশার আলো নেই। দল আইএসএল প্লে অফে পৌঁছানোর মতো শক্তি রাখে না, এমনকি বেশ কিছু বিদেশি ফুটবলারের পারফরম্যান্স নিয়েও সমালোচনা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে, কলকাতা লিগে জয় পেয়ে ক্লাবটি কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারে, তবে সেই জয়টি ওয়াকওভার হিসেবে এসেছে, যা অনেকের কাছে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। এই সবের মধ্যেও কলকাতা ফুটবল প্রেমীদের জন্য, এই মরসুমে জয়-পরাজয়ের গল্প যে জমে উঠবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।