আশা করা হয়েছিল অনেক কিছুই। ২০২২-এ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অন্দরে কী হয়, কী হয় ভাব। ক্লাব-বিনিয়োগকারী প্রসঙ্গে চলছিল বিস্তর আলোচনা। এরই মধ্যে ভিপি সুহের (VP Suhair ) স্কোয়াডে যোগ দিচ্ছেন শুনে উল্লসিত হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকদের অনেকেই। যতটা আশা করা হয়েছিল ভিপি সুহের তার কতটা পূরণ করতে পারলেন? সোমবার একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল ইস্টবেঙ্গলের সিনিয়র দল। আবারও নিরাশ করেছেন ভিপি সুহের।
রবিবার ইন্ডিয়ান নেভির বিরুদ্ধে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। ইন্ডিয়ান সুপার লীগে প্রথম একাদশে থাকার মতো ভারতীয়দের নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল প্রথম একাদশ। নেভির বিরুদ্ধে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশে রাখা হয়েছিল স্কোয়াডে নতুন আগত ফুটবলারদের। নন্দা, নিশু কুমার, গুরসিমরাত গিল, মহেশদের মন্দ লাগেনি ম্যাচে। তবে পারফরম্যান্সের বিচারে কিছুটা নিরাশ করেছেন ভিপি সুহের।
দলের অন্যতম সিনিয়র ফুটবলার ভিপি সুহের। রবিবার নেভির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ শুরু হওয়ার কিছু পরেই গোল করার মতো জায়গায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। গোটা ম্যাচ জুড়েই একাধিক আক্রমণে আরও বেশি অবদান রাখতে পারতেন । বস্তুত খাতায় কলমে অনেকটা পিছিয়ে থাকা ইন্ডিয়ান নেভির বিরুদ্ধে এই প্রস্তুতি ম্যাচে গোলের প্রচুর সুযোগ হাতছাড়া করেছে ইস্টবেঙ্গল। মহেশের মতো ফর্মে থাকা ফুটবলারও সুযোগ হাতছাড়া করেছেন।
তবে চাপ থাকবে ভিপি সুহেরের ওপর। কারণ তিনি স্কোয়াডের অভিজ্ঞ ফুটবলার। কয়েক বছর কলকাতার ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের পাশপাশি মোহনবাগানের জার্সি পরেও খেলেছেন। সুহেরকে নিয়ে প্রত্যাশা বরাবরই বেশি থাকে। কিন্তু পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, সেই প্রত্যাশা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পূরণ হয় না। বয়স তিরিশ অতিক্রম করেছে, ফিটনেস নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এবার কি ঘুরে দাঁড়াবেন ভিপি সুহের? সুখের কথা এই যে, বল পায়ে ঠিক জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছিলেন নেভির বিরুদ্ধে ম্যাচে।