Jaipur Mumbai Train Attack: জীবনের শেষ স্টেশন ‘দাহিসার’, নিহত যাত্রীদের দেহ পড়ে আছে

এখানে নামার কথা ছিল না। তবে যাত্রীদের নিথর দেহগুলো নামানো হল। জীবনের শেষ স্টেশন হয়ে গেল দাহিসার। মহারাষ্ট্রের এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে রাখা যাত্রীদের দেহ। গুলি…

এখানে নামার কথা ছিল না। তবে যাত্রীদের নিথর দেহগুলো নামানো হল। জীবনের শেষ স্টেশন হয়ে গেল দাহিসার। মহারাষ্ট্রের এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে রাখা যাত্রীদের দেহ। গুলি করে তাদের খুন করা হয়েছে। গুলি করেছে রেলরক্ষী। ভয়াবহ পরিস্থিতি জয়পুর থেকে মুম্বই যাওয়ার ট্রেনের ভিতর। এ দৃশ্য বারবার আমেরিকা ও ইউরোপে দেখা যায়। বন্দুক নিয়ে উন্মত্ত আচরণ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতা সহ দেশের কিছু অংশেও এমনটা ঘটছে। পুলিশ বা কোনও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছে। এতে সাধারণ নিরীহদের মৃত্যু হচ্ছে।

রক্তাক্ত কান্ড জয়পুর মুম্বই ট্রেনের ভিতর। গুলি চালিয়ে যেভাবে একের পর এক যাত্রীদের খুন করেছে রেলরক্ষী তাতে বেঁচে যাওয়া অন্যান্যরা কথা বলতে গিয়ে কেঁপে যাচ্ছেন।

সোমবার সকালে জয়পুর-মুম্বই সুপার ফাস্ট ট্রেনটির মধ্যে ভোরেগুলি চালানো হয়। এই গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আরপিএফ-এর এএসআই টিকারামের মৃত্যু হয়। ট্রেনের B5 কোচে এই গুলি চালানো হয়। সিপিআরও পশ্চিম রেলওয়ে ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেছেন এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

সিপিআরও বলেন, গুলি চালানোর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, কর্মকর্তারা ঘটনাটি তদন্ত করছেন। তিনি বলেন, আজ মুম্বাই-জয়পুর সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে আরপিএফ কনস্টেবল চেতন কুমার তার সহকর্মী এএসআই টিকারাম মীনাকে লক্ষ্য ককে গুলি চালিয়েছে। অন্য তিন যাত্রীকেও গুলি করে। প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, ওই রক্ষী তার সরকারী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে গুলি চালিয়েছিলেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুলি চালানোর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, আমরা এটি তদন্ত করছি।

Mumbai-Train

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, ডিআরএম নীরজ কুমার বলেন, সকাল ৬টার দিকে আমরা জানতে পারি যে একজন আরপিএফ কনস্টেবল, যিনি এসকর্টিং ডিউটিতে ছিলেন, গুলি চালিয়েছেন। চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।” আমাদের রেল অফিসার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।