East Bengal: হঠাৎ কেন ক্রাউড ফান্ডিং শুরু করল ইস্টবেঙ্গল? উঠে আসছে একাধিক তথ্য

গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে একটি নয়া সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবের তরফে।যেখানে বলা হয় দলের সকল সভ্য সমর্থকদের আবেদনকে সম্মান দিয়ে এবার ক্রাউড ফান্ডিং প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে কলকাতার এই প্রধান।

East Bengal vs United Sports I-League match

গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে একটি নয়া সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবের তরফে।যেখানে বলা হয় দলের সকল সভ্য সমর্থকদের আবেদনকে সম্মান দিয়ে এবার ক্রাউড ফান্ডিং প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে কলকাতার এই প্রধান। যারফলে, নিজেদের সাধ্য মতো যে কেউ অর্থ প্রদান করতে পারবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে।

তার বদলে লাল-হলুদের তরফ থেকে দেওয়া হবে বিশেষ শংসাপত্র। এই ঘটনা বিদেশি ফুটবল ক্লাব গুলির ক্ষেত্রে সাধারণ বিষয় হলেও ভারতীয় ফুটবলে একেবারেই নতুন। তবে হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তাদের তরফে?

   

এক্ষেত্রে গতকাল নিজেদের প্রেস বিবৃতিতে ক্লাবের পরিকাঠামো ও ইয়ুথ ডেভলপমেন্টের মতো বিষয়টি কে সামনে রেখে ফান্ডিং করার কথা বলা হলেও প্রয়োজনে সেই অর্থ ব্যবহার করা হতে পারে সিনিয়র দলের ক্ষেত্রে। যদিও সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবে ইমামি ইস্টবেঙ্গল বোর্ড। তবে প্রাথমিকভাবে এটি খরচ করা হবে ইয়ুথ ডেভলপমেন্টের ক্ষেত্রে।

তবে প্রশ্ন উঠছে, ইমামির মতো একটি ইনভেস্টর থাকা সত্ত্বেও কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল শতাব্দী প্রাচীন এই ক্লাব কে? আসলে, আগামী মরশুমের ক্ষেত্রে দল গঠনের ক্ষেত্রে ইমামির তরফ থেকে বাজেট বাড়ানোর কথা বলা হলেও তাতে যে পড়শি ক্লাব মোহনবাগান কে পাল্লা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয় তা হয়ত ভালোমতো ই বুঝতে পারছেন দলের সাবেক কর্তারা।

তবে সমর্থকদের একাংশের মতে, দলের বর্তমান ইনভেস্টর ইমামি কতৃপক্ষ কে কিছুটা চাপের মুখে ফেলে দেওয়ার জন্যই হয়ত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে লাল-হলুদ কর্মসমিতি। আসলে, এবার বাজেট বাড়ানোর কথা বলা হলেও তা বিপুল পরিমাণে সম্ভব নয়। যারফলে, দলবদলের ক্ষেত্রে একাধিকবার পিছিয়ে পড়তে হয়েছে লাল-হলুদ কে। তাই আবারও যদি এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয়ার্ধে ভালো কিছু খেলোয়াড় এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার লক্ষ্য থাকবে ইস্টবেঙ্গলের।