East Bengal: কুয়াদ্রাতের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে মশালবাহিনী

গত্ ফুটবল মরশুমে ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টান্টাইনের হাত ধরে নতুন করে সমস্ত কিছু শুরু করার ভাবনা থাকলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি কলকাতার প্রধান দল…

Carles Cuadrat

গত্ ফুটবল মরশুমে ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টান্টাইনের হাত ধরে নতুন করে সমস্ত কিছু শুরু করার ভাবনা থাকলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি কলকাতার প্রধান দল ইস্টবেঙ্গল এফ সি (East Bengal)। আইএসএলের দুইটি লেগ মিলিয়ে দল জিতেছিল মাত্র ৬টি ম্যাচ। এছাড়াও ছিল ১টি ড্র।

যারফলে, মোট ১৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে মরশুম শেষে লিগ টেবিলের একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। যা নিয়ে প্রবল হতাশা দেখা দিয়েছিল দলের সমর্থকদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে ব্রিটিশ কোচকে বিদায় জানিয়ে স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat) হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দেয় ইস্টবেঙ্গল।

   

বলাবাহুল্য, তার নির্দেশ মতোই এবার সেজে ওঠে লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবে ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেটন সিলভা থেকে শুরু করে ভারতীয় তারকা নাওরেম মহেশ সিংয়ের মতো বেশকিছু ফুটবলারদের রেখে দেয় নতুন করে সাজানো হয় গোটা স্কোয়াড। এক্ষেত্রে সবার আগে চূড়ান্ত করা হয় ওডিশা এফসির প্রাক্তন তারকা নন্দকুমার শেখরকে। তারপর কেরালা দল থেকে নিশু কুমার থেকে শুরু করে পরবর্তীতে মন্দাররাও দেশাই ও গোলরক্ষক প্রভসুখান সিং গিলের মতো তারকা ও যুক্ত হন মশাল ব্রিগেডের সঙ্গে।

পরবর্তীতে এই নয়া স্প্যানিশ কোচের নির্দেশ মতো চূড়ান্ত করা হতে থাকে একের পর এক বিদেশী ফুটবলারদের। যাদের মধ্যে রয়েছেন হায়দরাবাদ এফসির দুই তারকা তথা জাভিয়ের সিভেরিও টোরো ও বোরহা হেরেরা। এছাড়াও ওডিশা এফসি থেকে আনা হয় সাউল ক্রেসপোকে। পাশাপাশি ডুরান্ড কাপের দুই ডিফেন্ডার তথা আন্তোনিও পার্দো লুকাস ও জর্ডন এলসেকে দলে আনেন কোচ। তার এই স্কোয়াড এবার যথেষ্ট সফল থাকে ডুরান্ড কাপে। তবে ফাইনাল ম্যাচে পরাজিত হতে হলেও অনবদ্য লড়াই করে লাল-হলুদ ব্রিগেড।

যা নিয়ে কিছুটা হলেও হতাশা দেখা দিয়েছিল সমর্থক সহ দলের ফুটবলারদের মধ্যে। তবে সেই সমস্ত কিছু মুছে ফেলে গত মাসের ২৫ তারিখ থেকে এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগের লড়াই শুরু করেছে লাল-হলুদ। প্রথম ম্যাচে ভালো খেলেও জামশেদপুর এফসির সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেটন সিলভার অনবদ্য দুটি গোলে জয় তুলে নেয় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। তবে গত অ্যাওয়ে ম্যাচ খুব একটা সুখকর থাকেনি তাদের পক্ষে। নাওরেম মহেশ সিংয়ের করা গোলে বেঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে ১-০ ব্যাবধানে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে পরাজিত হতে হয় তাদের।

এই ম্যাচে জাভি হার্নান্দেজের গোল সকলের নজর কাড়লেও রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে থেকে গিয়েছে একাধিক বিতর্ক। বিশেষ করে সুনীল ছেত্রীর পেনাল্টিকে কেন্দ্র করে প্রবল সমালোচনা দেখা দিয়েছে সকলের মধ্যে। যারফলে, ৩টি ম্যাচ খেলে মোট ৪ পয়েন্ট সংগ্ৰহ করে লিগ টেবিলের ৭ নম্বরে নেমে গিয়েছে দল। তবে সকলের আশা গতবারের তুলনায় এবার যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে লাল-হলুদ। যার অন্যতম কারন স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের উপস্থিতি। তবে শেষ পর্যন্ত আদৌ কতটা সফল হয় এই প্রধান, সেটাই দেখার।