আর কয়েক ঘন্টা পরে শুরু হবে ওড়িশা এফসি বনাম পাঞ্জাব এফসি ম্যাচ। এই ম্যাচের দিকে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকরা তাকিয়ে থাকবেন। কারণ শেষ ছয়ে থাকার লড়াই হয়েছে ক্রমে জোরদার। ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি পাঞ্জাব এফসিও রয়েছে শেষ ছয়ে থাকার দৌড়ে।
পাঞ্জাব এফসি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তাদের শেষ দু’টি ম্যাচের মধ্যে একটিতে জিতেছে এবং একটি ম্যাচে ড্র করেছে। মরসুমের শুরুর দিকে পয়েন্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে হিমশিম খাচ্ছিল পাঞ্জাব এফসি। জানুয়ারির ট্র্যান্সফার উইন্ডোর পর কিছুটা মোমেন্টাম পেয়েছে দল। সেই মোমেন্টাম ধরে রাখতে চাইবে পাঞ্জাব। ওড়িশার বিরুদ্ধে পাঞ্জাব এফসি জিতলে কিংবা পয়েন্ট অর্জন করলে চাপ বাড়বে ইস্টবেঙ্গলের ওপর।
ওড়িশা এফসি জিতলে ইস্টবেঙ্গলের বরং সুবিধা হবে। কারণ ওড়িশা ইতিমধ্যে শেষ চারে নিজেদের জায়গা পাকা করেছে। ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্টের লড়াই এখন মূলত প্রথম ছয়ে থাকার জন্য। সেই হিসেবে ইস্টবেঙ্গল চাইবে পাঞ্জাব এফসিকে হারিয়ে পুরো পয়েন্ট তুলে নিক ওড়িশা এফসি।
উইলমার জর্ডান গিল পাঞ্জাব এফসির হয়ে প্রথম একাদশে নিয়মিত হওয়ার পর থেকেই পাঞ্জাব এফসির পক্ষে ম্যাচের ফলাফল ঝুঁকতে শুরু করেছে। চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত ছয়টি গোল ও একটি অ্যাসিস্ট করেছেন এই স্ট্রাইকার। প্রতি ৭০.৫৫ মিনিটে একটি করে গোলের অবদান রেখেছেন জর্ডান গিল।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিপক্ষের বক্সে ৪৩ টি টাচ রয়েছে জর্ডানের। ১০ টি সফল ড্রিবল সম্পন্ন করেছেন, তাঁর নেওয়া প্রায় অর্ধেক শট অন টার্গেটে থেকে। সুযোগ থেকে গোল রূপান্তর করার হার প্রায় ২৩ শতাংশ। ২০২৪ সালের শুরু থেকে আইএসএলে ১০টি হেড শট রেকর্ড করেছেন গিল, যা এই সময়ের মধ্যে প্রতিযোগিতায় যে কোনও খেলোয়াড়ের পক্ষে সর্বোচ্চ।
গিলের সঙ্গে মাদিহা তালালের বোঝাপড়া পাঞ্জাব এফসির জন্য সম্পদ হয়ে উঠেছে। ওড়িশা এফসির কোচ সের্জিও লোবেরা নিশ্চয়ই পাঞ্জাবের এই দুই বিদেশি ফুটবলারের খেলা লক্ষ্য করেছেন। ওড়িশা এফসি বনাম পাঞ্জাব এফসি ম্যাচে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারেন এই দুই বিদেশি ফুটবলার।