গত ফুটবল মরশুমে একেবারে হতশ্রী পারফরম্যান্স ছিল ইস্টবেঙ্গলের ( East Bengal)। শুরুটা ভালো হলেও ম্যাচ যত এগিয়েছে ধরাশায়ী হতে হয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। তাই নতুন মরশুমে নিজেদের মেলে ধরতে অনেক আগে থেকেই দল গঠনের আসরে নেমে পড়েছিল ম্যানেজমেন্ট। প্রথমদিকে একাধিক দেশীয় ফুটবলারদের সাথে কথাবার্তা এগিয়ে নিয়ে চূড়ান্ত করা হয়ে বেশকিছু ফুটবলারদের।
পরবর্তীতে কার্লোস কুয়াদ্রাত দলের দায়িত্বে আসর পর তার পছন্দ মতো একাধিক বিদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে কথাবার্তা এগিয়ে নিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। গত কয়েকদিন আগেই হায়দরাবাদ এফসির দুই তারকা ফুটবলার জাভিয়ের সিভেরিও ও বোরহা হেরেরার নাম ঘোষণা করে ক্লাব। পরবর্তীতে ওডিশা এফসি থেকে দলে নেওয়া হয় সাউল ক্রেসপোকে।
পাশাপাশি দেশীয় ফুটবলারদের নেওয়ার ক্ষেত্রে ও যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে ওঠে ক্লাব। এক্ষেত্রে সবার প্রথমে নন্দকুমার শেখর আর নিশু কুমারকে চূড়ান্ত করে ক্লাব। তারপর আজ একসাথে তিন দেশীয় ফুটবলারের নাম ঘোষণা করা হয় ইস্টবেঙ্গলের তরফে। যাদের মধ্যে রয়েছেন হরমনজোত সিং খাবরা, মন্দাররাও দেশাই ও এডউইন ভান্সপল। এই তিন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করার প্রসঙ্গে ইমামি কর্তা দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, এই তিন ফুটবল তারকা ভারতীয় ফুটবলের সব রকমের খেতাব জয় করেছেন। তাদের প্রতিভা, মানসিকতা, ও জেতার মনোভাব আমাদের দলকে যথেষ্ট শক্তিশালী করে তুলবে।
পাশাপাশি ইমামি ইস্টবেঙ্গলে ফিরে আসতে পেরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে খাবরা বলেন, “আমি আমার পুরোনো ক্লাবে ফেরার জন্য যথেষ্ট উৎসাহিত। এই ফুটবল ক্লাব আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আবারও আমাকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে। দলের সকল সমর্থকদের সামনে নিজের একশো শতাংশ উজাড় করে দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি। বিশেষ করে আমি কলকাতা ডার্বি খেলার জন্য যথেষ্ট উৎসাহী। অতীতে এই ডার্বি ম্যাচ ঘিরে বহু সাফল্য আমাদের এসেছে।”
অন্যদিকে মুম্বাই ছেড়ে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মন্দার বলেন, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া বিরাট সম্মানের। সেইসাথে এটি একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে আমার কাছে। যেখানে নিজের সমস্ত কিছু দিতে চাই। তাছাড়া দলের কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত যথেষ্ট ভালো মানুষ ও অসাধারণ ট্যাকটিশিয়ান। তার অধীনে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি খুশি।
একইভাবে এডউইন ভান্সপল বলেন, কলকাতা ফুটবলের ঐতিহ্য সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। সেখানে দাঁড়িয়ে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের মতো দলের হয়ে খেলা আমার কাছে বিরাট পাওনা। পূর্বে যখনই আমি ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে খেলেছি, আমি দেখেছি এই ক্লাবের একটা বিরাট সংখ্যক সমর্থক রয়েছে। আমি নিজে সেই সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হতে চাই।