গত মরশুমের হতাশা ভুলে এবার নতুন করে নিজেদের মেলে ধরাই অন্যতম লক্ষ্য ছিল লাল-হলুদের (East Bengal)। সেইমতো ব্রিটিশ কোচকে বিদায় জানিয়ে স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাতে তুলে দেওয়া হয় দলের দায়িত্ব। তারপর থেকেই একেবারে নতুন করে সেজে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল দল। গতবারের বেশকিছু তারকা ফুটবলারদের রেখে দিয়ে একের পর এক নয়া ফুটবলারদের চূড়ান্ত করতে থাকে কলকাতার এই প্রধান।
এক্ষেত্রে দেশিয় ফুটবলারদের মধ্যে নন্দকুমার শেখর থেকে শুরু করে পরবর্তীতে মন্দাররাও দেশাই, নিশু কুমার থেকে শুরু করে এডুইন সিডনি ভান্সপল ও শেষে গোলরক্ষক হিসেবে প্রভসুখন সিং গিলকে টানে লাল-হলুদ ব্রিগেড। তারপর দলের নয়া স্প্যানিশ কোচের কথা মতো বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে জাভিয়ের সিভেরিও টোরো, বোরহা হেরেরা থেকে শুরু করে সাউল ক্রেসপো, জর্ডন এলসে ও পরবর্তীকালে অ্যান্তোনিও পার্দো লুকাসকে যুক্ত করা হয় দলের সঙ্গে।
তবে শুধু সিনিয়র দলই নয়। ক্লাবের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সাপ্লাই লাইন বাড়ানোর ও কাজ শুরু করে ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে রিজার্ভ দলের সঙ্গে বেশকিছু ফুটবলারদের যুক্ত করতে বিশেষ ট্রায়ালের আয়োজন করা হয় ক্লাবের তরফ থেকে। সেখানেই রামকৃষ্ণ মিশনের একাধিক প্রতিভাবান ফুটবলারদের পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকে ও বেশকিছু ফুটবলারদের এনে যুক্ত করা হয় দলের সঙ্গে। তাদের মধ্যেই অধিকাংশ ফুটবলারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে এবারের কলকাতা লিগে। অভিষেক কুঞ্জম থেকে শুরু করে ভানলালপেকা গুইতে, পিভি বিষ্ণু সহ একাধিক তারকা ফুটবলার রয়েছে এই তালিকায়। তাদের সাথেই এবার যুক্ত হল অনূর্ধ্ব ১৭ ভারতীয় ফুটবল দলের অন্যতম প্রতিভাবান জুলফিকার গাজী।
একটা সময় ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলের ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকেই উঠে এসেছিলেন বসিরহাটের এই ফুটবলার। যুক্ত ছিলেন অনূর্ধ্ব ১৩ ফুটবল দলের সঙ্গে। পরবর্তীতে জাতীয় শিবির। সেখান থেকেই এবার দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে তাকে দলে টানল লাল-হলুদ ব্রিগেড।