ISL: কৃষ্ণার মোহন-বাঁশিতে কুপোকাত ইস্টবেঙ্গল

সেমিফাইনালে (ISL) চলে গেল এটিকে মোহন বাগান। অকাল বসন্ত নেমেছে শুক্লপক্ষের গঙ্গাপারে। চাঁদের মোলায়েম আলোর আড়ালে বাগানের প্রতিবেশী ক্লাব। জল্পনা, সমালোচনাতে কাটছে এবারের মরশুম। 

Advertisements

ISL

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স এটিকে মোহন বাগানের। টানা অপরাজিত থাকার এক নজির গড়েছে তারা। ইস্টবেঙ্গলও তাদের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যুক্ত করেছে। তবে তাতে কখনও পড়বে না মনোরম কোনো আলো। কারণ সেই নজির লজ্জায় ঢাকা। একশো বছরের ইতিহাসে এই প্রথম জাতীয় কোনো লিগে একেবারে অন্তিম স্থানে ইস্টবেঙ্গল। 

রয় কৃষ্ণা প্রমাণ করলেন সেই পুরোনো প্রবাদ। ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট। চোট কাটিয়ে কিছু দিন আগে ফিরেছিলেন মাঠে। লাল কার্ড দেখতে হয়েছিল সে’দিন। গোল করতে পারেননি। খিদেটা রয়ে গিয়েছিল। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে পুষিয়ে নিলেন সুদে আসলে। বড় মঞ্চে গোল করলেন। দলকে তুললেন সেমিফাইনালে। 

Advertisements

Isl

চাপের মুখে ভালো পারফরম্যান্স তুলে ধরার জন্য ইস্টবেঙ্গল বরাবর প্রসিদ্ধ। কিন্তু এবার কোথায় কি! লড়াইটা যেন দিতে পারেননি লাল হলুদ ফুটবলাররা। লড়াই দেওয়ার যখন চেষ্টা করলেন তখন বোধহয় অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। অংকের বিচারে সুযোগ ছিল আগে। কিন্তু পয়েন্ট এল না প্রত্যাশা মতো ফুটবলারদের নেওয়া শট ক্রিসপিসে লেগে ফিরে এলে গোল লাইনের এপারে। মাথায় হাত সমর্থকদের। 

এটিকে মোহন বাগানের দল ‘ সেট টিম ‘। নিজেদের মধ্যে তালমিল গড়তে দেরি হয়নি। তবু লোপেজ হাবাসের সময় বারবার ধাক্কা খেয়েছিল পালতোলা নৌকা। হাল ধরলেন হুয়ান ফেরান্দো। কোচ বাছাই করতে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন সবুজ মেরুন কর্তারা। যেমন ড্যানিয়েল চিমাকে দলে নিয়ে নিন্দুকদের চুপ করিয়ে দিয়েছে জামশেদপুর।