ডার্বির রং লাল-হলুদ, গোল বাঁচালেন আনোয়ার

চলতি আইএসএলে প্রথম ডার্বি জয় করল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। এদিন সন্ধ্যায় সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল পড়শী ক্লাব মহামেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে। সম্পূর্ণ…

East Bengal Triumphs in First ISL Derby with 3-1 Victory Over Mohammedan SC

চলতি আইএসএলে প্রথম ডার্বি জয় করল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। এদিন সন্ধ্যায় সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল পড়শী ক্লাব মহামেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৩-১ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল অস্কার ব্রুজনের ছেলেরা। এদিন দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে নাওরেম মহেশ সিং, সাউল ক্রেসপো এবং ডেভিড লালহানসাঙ্গা। অন্যদিকে, মহামেডান দলের হয়ে ব্যবধান কমান ফ্রাঙ্কা। এই জয়ের ফলে ২০ ম্যাচে লাল-হলুদের সংগ্রহে থাকল ২১ পয়েন্ট। সুপার সিক্সের লড়াইয়ে দল না থাকলেও ফুটবলারদের পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে খুশি করেছে সমর্থকদের।

এদিন প্রথম কিছুটা সময় সাদা-কালো ফুটবলারদের সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গেলেও সময়ের সাথে সাথেই বদলাতে থাকে গোটা পরিস্থিতি। খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে টেনে নিতে শুরু করে মশাল ব্রিগেড। বিশেষ করে পিভি বিষ্ণুর পাশাপাশি রাফায়েল মেসি বাউলির মত ফুটবলারদের সক্রিয়তা নিঃসন্দেহে চাপে ফেলে দিয়েছিল ব্ল্যাক প্যান্থার্সদের। পরবর্তীতে গোলের মুখ খোলার একাধিক সুযোগ পান ইস্টবেঙ্গলের নবাগত বিদেশি ফুটবলার। কিন্তু অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় সেই শট গুলি। তবে খুব একটা নিরাশ করেনি জাতীয় দলের উইঙ্গার নাওরেম মহেশ সিং। ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শেষের দিকেই পিভি বিষ্ণুর থ্রু ধরে মহামেডান রক্ষণে হানা দেন মহেশ।

   

পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনতে পদম ছেত্রী এগিয়ে আসলে ও দলের পতন রোধ করা সম্ভব হয়নি। প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলেই এগিয়ে ছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল‌। অন্যদিকে, পিছিয়ে থাকলে ও দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিট থেকেই চাপ বাড়িয়ে গোল তুলে নিতে তৎপর ছিল মেহরাজুদ্দিন ওয়াডুর ছেলেরা। সেইমতো ঘন ঘন আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করেছিল সাদা-কালো ফুটবলাররা। যা নিঃসন্দেহে চাপে ফেলে দিয়েছিল আনোয়ার আলিদের। তবে সেই সময় প্রতি আক্রমণে উঠে মেসি বাউলির পাস থেকে সাউল ক্রেসপোর গোল আসতেই আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে উঠে যায় ইস্টবেঙ্গল।

কিন্তু মিনিট তিনেকের মধ্যেই ব্যবধান কমিয়ে দেয় মহামেডান। বিশেষ করে রবি হাঁসদা মাঠে নামার পর থেকেই আর ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে সাদা-কালোর আক্রমণভাগ। তারপর সন্তোষ জয়ী এই ফুটবলারের থ্রু ধরেই লাল-হলুদের রক্ষণভাগে হানা দেন ফ্রাঙ্কা। সেখান থেকেই চলে আসে গোল। সেই গোলের পর থেকেই আগুন তেজে জ্বলে ওঠে মহামেডান। প্রতিপক্ষের ঘনঘন আক্রমণে কার্যত কাঁপতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগ। সমতায় ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ফ্রাঙ্কা থেকে শুরু করে রবিরা। তবে শেষ মুহূর্তে গোল লাইন সেভ দেন আনোয়ার আলি।

নাহলে অনায়াসেই বদলে যেতে পারতো ম্যাচের পরিস্থিতি। তারপর শেষ লগ্নে গোল করে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন ডেভিড লালহানসাঙ্গা। তবে এদিন পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোল করায় সেলিব্রেশন করেননি এই ফুটবলার।