কলকাতা লিগে (CFL 2025) আবারও ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) বিজয়রথ চলতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার বারাকপুরের (Barrackpore) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্টেডিয়ামে (Bibhutibhushan Bandyopadhyay Stadium) তারা ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিল জর্জ টেলিগ্রাফকে (George Telegraph)। বিষ্ণু, সায়ন এবং মনোতোষের গোলের দৌলতে এই জয় শুধু দলের মনোবলই বাড়াল না, পাশাপাশি ঘরোয়া লিগের শীর্ষস্থান দখল করল বিনো জর্জের ছেলেরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখল ও আক্রমণের গতি ছিল ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে। দলে অভিজ্ঞতা ও প্রতিভার ছাপ স্পষ্ট। আইএসএল-অনুভব সম্পন্ন দেবজিৎ, সায়ন, ও বিষ্ণুর উপস্থিতি একপ্রকার জর্জের রক্ষণভাগকে চাপে রাখে। তবে প্রথমার্ধে গোলের মুখ খোলার আগেই বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে লাল-হলুদ শিবির। গোলমুখে একাধিকবার বল পৌঁছালেও তা জালে ঠেলতে পারেননি ফরোয়ার্ডরা।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামে এক অন্য ইস্টবেঙ্গল। খেলায় গতি ও আক্রমণের ধার বেড়ে যায় চোখে পড়ার মতো। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে ডান দিক থেকে আসা একটি দুরন্ত পাস নিয়ন্ত্রণ করে জোরালো শটে গোল করেন বিষ্ণু। এই গোল যেন ম্যাচে টার্নিং পয়েন্ট। এর পর থেকেই জর্জের প্রতিরোধ একপ্রকার ভেঙে পড়ে।
৮৩ মিনিটে সায়নের নিখুঁত প্লেসমেন্টে ব্যবধান বাড়ে ২-০। পাঁচ মিনিট পর, অর্থাৎ ৮৮ মিনিটে ফের গোল করে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন বিষ্ণু। সংযুক্ত সময়ে শেষ কফিনের পেরেকটি পুঁতেন মনোতোষ। উল্লেখযোগ্যভাবে, ম্যাচে একটি পেনাল্টি পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ডেভিড, নয়তো স্কোরলাইন আরও বড় হত।
এদিন জয়ের ফলে ইস্টবেঙ্গল ১০ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্ৰুপ ‘এ’ শীর্ষে উঠে আসে। গোলপার্থক্যে এগিয়ে থেকে তারা পেছনে ফেলেছে পুলিশ দলকে, যারা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে সুরুচি সংঘ। চমকপ্রদভাবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান রয়েছে ছয় নম্বর স্থানে।
ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ বলেন, “প্রথমার্ধে ছেলেরা অনেক সুযোগ নষ্ট করেছে, তবে দ্বিতীয়ার্ধে তারা নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। বিষ্ণু অসাধারণ পারফর্ম করেছে।” তিনি আরও জানান, সুপার সিক্সের লক্ষ্যে প্রতিটি ম্যাচই ফাইনালের মতো খেলা হচ্ছে।