ফুটবল উদ্দীপনা কি শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায়? জিকসন এসেও ভরাতে পারলেন না মাঠ

বছরখানেক আগের কথা। এরকমই এক বর্ষার বিকেল। ছাতা মাথায় দিয়ে মোহনবাগান মাঠে হাজির সমর্থকরা। প্রথমবারের জন্য সবুজ মেরুন জার্সিতে জেসন কামিন্স, আর্মান্দো সাদিকু, অনিরুধ থাপা।…

surajit seal cfl

বছরখানেক আগের কথা। এরকমই এক বর্ষার বিকেল। ছাতা মাথায় দিয়ে মোহনবাগান মাঠে হাজির সমর্থকরা। প্রথমবারের জন্য সবুজ মেরুন জার্সিতে জেসন কামিন্স, আর্মান্দো সাদিকু, অনিরুধ থাপা।

   

DHFC: গোল বন্যায় ভাসল বিধাননগর, সাত তারায় উজ্জ্বল ডায়মন্ড হারবার

১৯ জুলাই, ২০২৪। ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) মাঠ। কলকাতা ফুটবল লিগের ম্যাচ। আকর্ষণের আরও একটা কারণ- জিকসন সিং। দল বদলের বাজারে সাড়া ফেলে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। দেশের অন্যতম সেরা উঠতি ফুটবলারকে নিজেদের স্কোয়াডে সামিল করেছে লাল হলুদ ব্রিগেড। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের পর পোস্ট। ম্যাচের আগে সমর্থকদের কৌতূহলে বৃদ্ধি করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। কিন্তু মাঠ ভরল কই? ৬ নম্বর জার্সির ফুটবলারের সামনে ৬ গোলে জয়। আবারও কলকাতা ফুটবল লিগ জয়ের জন্য দৌড়োচ্ছে মশাল বাহিনী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল কেন্দ্রিক পোস্ট, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি প্রচুর। কিন্তু সেই উন্মাদনা গ্যালারিতে কি প্রতিফলিত হচ্ছে? কিছু দিন আগেই মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল বড় ম্যাচ হল। দর্শকের অভাবে খাঁ খাঁ করছিল গ্যালারির বেশিরভাগ অংশ।

এক নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি, তিন নম্বরে হাফসেঞ্চুরি, তবুও গম্ভীরের টিম ইন্ডিয়ায় হল না জায়গা

জিকসন সিংকে কেন্দ্র করেও জল্পনার জল গড়িয়েছিল অনেক দূর। ইস্টবেঙ্গল তাঁকে চূড়ান্ত করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের শুভেচ্ছার বন্যা। সোশ্যাল মিডিয়ায় জিকসনকে নিয়ে যে আগ্রহ ছিল, তাতে আশা করা হয়েছিল হাউসফুল হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল বনাম পুলিশ ম্যাচ। দর্শক সংখ্যা যে একেবারে কম ছিল এমনটা নয়। অনেকেই এসেছিলেন, অনেকেই আসেননি। কেন আসেননি সেটাই প্রশ্ন। মাঠে এসে খেলা দেখার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ, নাকি অন্য কোনো কারণ? প্রশ্ন থাকছে।