ইস্টবেঙ্গল (East Bengal ) ২০২৫-২৬ মরসুমের জন্য ইন্টার কাশি থেকে ভারতীয় ফরোয়ার্ড এডমন্ড লালরিন্ডিকাকে (Edmund Lalrindika) ১.৪৫ কোটি টাকায় দলে নিয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবলে নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে। ২০২৪-২৫ আইএসএলে নবম স্থানে থাকা ইস্টবেঙ্গল এই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকারকে দলে ভিড়িয়ে তাদের ফ্রন্টলাইনকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করেছে। এডমন্ডের আগমন দলের আক্রমণে গভীরতা যোগ করবে এবং কোচ অস্কার ব্রুজনের কৌশলগত বিকল্পগুলোকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
২০২০ সালে ঋণে স্বল্প সময়ের জন্য ইস্টবেঙ্গলে খেলা এডমন্ডের এই প্রত্যাবর্তন দলের খেলার ধরনে নতুন মাত্রা আনবে। তাঁর বহুমুখী গুণাবলী এবং গোলের সামনে কার্যকরী উপস্থিতি ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণকে আরও বিপজ্জনক করে তুলবে। এখানে আমরা তিনটি প্রধান দিক থেকে দেখব কীভাবে এডমন্ড লালরিন্ডিকা ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণাত্মক শক্তিকে উন্নত করতে পারেন।
৩. বদলি হিসেবে গেম-চেঞ্জার
যদিও এডমন্ডকে উচ্চ ফি দিয়ে দলে নেওয়া হয়েছে। তিনি প্রাথমিকভাবে কিছু ম্যাচে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামতে পারেন। অস্কার ব্রুজন তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত খেলার শৈলীকে নির্দিষ্ট ম্যাচে ব্যবহার করতে চাইবেন, বিশেষ করে যখন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা ক্লান্ত থাকবে। এডমন্ডের শারীরিক শক্তি এবং বল ধরে রাখার ক্ষমতা তাঁকে লিঙ্ক-আপ খেলায় দক্ষ করে তোলে। তিনি প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুত গোলের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেন। বদলি হিসেবে তাঁর উদ্যমী উপস্থিতি ইস্টবেঙ্গলের বেঞ্চকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ম্যাচের গতিপথ বদলে দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করবে।
২. সৃজনশীল মাস্টারমাইন্ড
ইন্টার কাশির হয়ে ২০২৪-২৫ আই-লিগে এডমন্ডের পারফরম্যান্স ছিল চোখ ধাঁধানো। তিনি ৪টি গোলের পাশাপাশি ৫টি অ্যাসিস্ট প্রদান করে তাঁর সৃজনশীল দিকটি তুলে ধরেছেন। গোল স্কোরার হিসেবে খ্যাতি থাকলেও, এডমন্ড এখন তাঁর সতীর্থদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে সমানভাবে দক্ষ। তিনি গভীরে নেমে এসে ডিফেন্ডারদের টেনে নিয়ে যান এবং সুনির্দিষ্ট পাস দিয়ে আক্রমণের গতি বাড়ান। ২০১৯-২০ মরসুমে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কলকাতা ডার্বিতে তিনি একটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন।
১. আক্রমণে অলরাউন্ডার
এডমন্ড লালরিন্ডিকা গত কয়েক বছরে নিজেকে বিভিন্ন পজিশনে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করেছেন। ইন্টার কাশির হয়ে তিনি স্ট্রাইকার, আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার এবং এমনকি উইঙ্গার হিসেবে খেলে নিজের বহুমুখীতা প্রমাণ করেছেন। এই নমনীয়তা তাঁকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সের জন্য একটি ধ্রুবক হুমকি করে তোলে। তিনি কেবল গোল করতেই নয়, বিভিন্ন পজিশন থেকে খেলার গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করতেও পারেন।