East Bengal: সমর্থকদের হেনস্থার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর শরণে মশালবাহিনী

এবারের ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) হারিয়ে ট্রফি ঘরে তুলেছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস।

East Bengal Chief Minister

এবারের ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) হারিয়ে ট্রফি ঘরে তুলেছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস। গতবারের মতো এবারের টুর্নামেন্টের শুরুটা যথেষ্ট মধুর হলেও পরবর্তীকালে ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার মতো সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল মেরিনার্সদের। পরবর্তীকালে গ্রুপ রানার্স আপ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে মোহনবাগান।

সেখানে শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসিকে হারিয়ে সেমিফাইনাল রাউন্ড। তারপর এফসি গোয়া দলকে হারিয়ে ফাইনাল। তারপর গতকাল শেষ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড জয় করে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। যা নিয়ে খুশি আপামর বাগান সমর্থকরা।

অপরদিকে, ডার্বির পাশাপাশি ডুরান্ড ফাইনাল হারার যন্ত্রনার ছবি ধরা দিয়েছিল লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে। এসবের মাঝেই অন্যান্য ডার্বির মতো এবারও প্রতিপক্ষ দল তথা মোহনবাগানের সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়াতে দেখা গেল বহু সমর্থকদের। তবে গতবারের তুলনায় অনেকটাই ভয়াবহ রূপ নিল এবার। গতকাল রাত থেকে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হতে থাকে বহু ভিডিও। যেখানে বারংবার মোহনবাগান সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হতে দেখা গেল লাল-হলুদ সমর্থকদের। তাদের জার্সি ছেড়া থেকে শুরু করে মারধর করা। বহু জিনিসের সাক্ষী থেকেছে নেটিজেনরা। এসব নিয়েই আজ বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল লাল-হলুদ শিবির।

সেখানে সেই সমস্ত ভিডিও ফুটেজ সহ গোটা বিষয়টি নিয়ে লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “কাদাপাড়ার এই ঘটনা নতুন নয়। দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে চলে আসছে। আমাদের তরফ থেকে ওখানকার স্থানীয় বিধায়ককে বহুবার জানানো হয়েছে।এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ম্যাচের আগে প্রশাসনের কাছেও দরখাস্ত জমা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকবার যখন মিটিং করা হয় খেলার আগে, তবে কোনো কিছুতেই কোনো কাজ হচ্ছে না।

এক্ষেত্রে আমাদের একটাই পথ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাওয়া। পাশাপাশি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে জানানো। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা চিঠি দেব। পাশাপাশি গোটা বিষয়টি আমরা উল্লেখ করতে চাই। এক্ষেত্রে ওনার সিদ্ধান্তের উপর সমস্ত কিছু রয়েছে।” তবে প্রয়োজনে ক্লাব সদস্য ও সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথাও জানানো হয় তাদের তরফে।