ভারত সেরা ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। দীর্ঘ কয়েক বছরের গ্লানি ঘুচল লাল হলুদ শিবিরে। কলিঙ্গ সুপার কাপ (Kalinga Super Cup) ফাইনালে ওড়িশা এফসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি শ্যুট আউটে নার্ভ শক্ত রেখে চ্যাম্পিয়ন্স মেন্টালিটি দেখিয়েছে মশাল বাহিনী।
ব্যর্থতা, ব্যর্থতা, ব্যর্থতা… গত কয়েক বছরে ইস্টবেঙ্গল নামের সঙ্গে যেন এই লেবেলটা সেঁটে গিয়েছিল একেবারে। সময়ের নিয়মে কোনো কিছুই চিরন্তন হয় না। ইস্টবেঙ্গলের এই ‘ ব্যাড প্যাচ ‘ অতিক্রম করাও ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু আর কত দিন, আর কতদিন হৃদয়ে চলবে এই রক্তক্ষরণ? প্রশ্ন ছিল আপামর ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের।
এবারের মরসুমের শুরুতে মোহন বাগান সুপার জায়ান্টকে হারিয়ে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ইন্ডিয়ান সুপার লীগের প্রথম দুই ম্যাচও মন্দ হয়নি ক্লাবের জন্য। তারপর ফের পদস্খলন। আবারও হতাশায় ডুবতে শুরু করেছিলেন ক্লাব অনুগামীরা। তবুও আশা ছিল, কারণ এবার ইস্টবেঙ্গল দলের ডাগ আউটে রয়েছেন কার্লেস কুয়াদ্রত নামের এক ভদ্রলোক। যার মুখে সব সময় লেগে থাকে হাসি। তিনিই এখন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের স্বপ্নের সওদাগর। একজন ভালো কোচ কতটা তফাৎ গড়ে দিতে পারেন সেটার আদর্শ উদাহরণ এই কুয়াদ্রত অ্যান্ড কোম্পানি।
ইস্টবেঙ্গল দলের স্কোয়াড যে এবার মারাত্মক কিছু তা নয়। মারাত্মক দেখিয়েছে দলের মানসিকতা। বড় ম্যাচে বাঘা বাঘা অনেক খেলোয়াড় নার্ভ হারিয়ে ম্যাচ হেরে বসেন। ইস্টবেঙ্গল ডুরান্ড কাপ জিততে পারেননি একটুর জন্য। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েছে দল। ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জিতেছে সুপার কাপ। প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে খোঁচা খাওয়া বাঘ কেন ভয়ংকর। অনেকেই তো ভাবতেও পারেননি ইস্টবেঙ্গল এই মরসুমে ট্রফি জিতবে। লেস্টার সিটিও যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ জিততে পারবে সেটাই বা ক’জন ভেবেছিলেন? ফুটবল শুধু ভাবনার লড়াই নয়, নার্ভ, স্কিল, টিম কম্বিনেশের লড়াই।