অস্কার ব্রুজনের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal )। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্ৰুপ পর্বে অনবদ্য পারফরম্যান্স করার পর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ও জয়ের সরণিতে ফিরেছিল ময়দানের এই প্রধান। তবে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পাশাপাশি খেলোয়াড়দের চোট আঘাতের সমস্যা যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল দলের পারফরম্যান্সে। স্বাভাবিকভাবেই পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকতে হয়েছিল অধিকাংশ সময়। কিন্তু তবুও নিজেদের সীমিত শক্তি নিয়েই সুপার সিক্সের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। তবে গত চেন্নাইয়িন ম্যাচে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই চাপ বেড়েছিল দলের।
তবুও সুপার সিক্সে যাওয়ার ক্ষীন আশা ছিল মশাল ব্রিগেডের কাছে। সেক্ষেত্রে শেষের সবকটি ম্যাচেই জয় লাভ করতে হত লেসলি ক্লডিয়াস সরণির এই ফুটবল ক্লাবকে। গত হায়দরাবাদ ম্যাচ পর্যন্ত সেই ধারা বজায় থাকলেও গত রবিবার আটকে যেতে হয় অস্কার ব্রুজনের ছেলেদের। প্রথমদিকে রাফায়েল মেসি বাউলির গোলে দল এগিয়ে গেলে ও শেষ পর্যন্ত বজায় থাকেনি শেষ পর্যন্ত। সুনীল ছেত্রীর গোল বদলে দেয় সমস্ত কিছু। যারফলে অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হয় এই ফুটবল ম্যাচ। দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট হতাশ লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার।
Also Read | Sunil Chhetri goal: ইস্টবেঙ্গলের জয় আটকে দিয়ে কী বললেন ছেত্রী?
এক্ষেত্রে মূলত ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন ক্লাব কর্তা। একটি জনপ্রিয় মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” গতকাল আমরা দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা যেটা ভেবেছিলাম সেটাই হতে চলেছে। কারণ কলকাতা থেকে সুপার সিক্সে দুই দলকে যেতে দেবে না। এটা নিয়ে আগামী দিনে কী করা যায় সেটা দেখা যাবে। তাছাড়া যেভাবে দিমিকে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে তা হতাশাজনক। অপরদিকের ফুটবলার আগে উত্তেজিত হয়েছিল। তাহলে ওকে ও দিত। একই অপরাধে দুজনের শাস্তি হওয়ার কথা থাকলেও একজনের হল অন্যজনের হলো না। দ্বিতীয়ত মহেশের গোল বাতিল করার কারণ রেফারির জানানো দরকার। ওখানে দিমির পায়ে বল লাগেনি। সুতরাং গোলটা কেন বাতিল হল।”
তবে এখানেই শেষ নয়। দেবব্রত সরকার আর ও বলেন, ” সুনীল ছেত্রীর নিজের ফাউল ছিল। ওকে প্রথম থেকেই ডিফেন্সে আসতে বাঁধা দিচ্ছিল। তাঁর বিপক্ষে পেনাল্টি দেওয়া হল। আমি জানি না ভারতীয় ফুটবল কীভাবে এগোবে। তাছাড়া আমরা এই বছর কাজ করতে গিয়ে কয়েকজন বিদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। ওদের কাছে রিপোর্ট গেছে যে ভারতের ফুটবল লিগে অতি জঘন্য রেফারিং হয়ে আসছে। সেজন্য নাকি ভালো খেলোয়াড় বেশি আসতে চাইছে না। যদিও সত্যি মিথ্যে আমার জানা নেই। তবে এসবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।”