আগামী জুলাই মাসের শেষের দিকেই শুরু হতে চলেছে ফুটবলের নতুন মরশুম। যেখানে প্রথমেই আয়োজিত হবে ডুরান্ড কাপের পাশাপাশি প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের মতো টুর্নামেন্ট। সমস্ত কিছু মাথায় রেখেই অনেক আগে থেকে দল গঠনের কাজ শুরু করেছিল প্রত্যেকটি ফুটবল ক্লাব। শেষ সিজনে কলিঙ্গ সুপার কাপ ছাড়া কোন টুর্নামেন্ট জয় করতে পারেনি ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)।
ডুরান্ড কাপ এর পাশাপাশি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ভালো পারফরম্যান্স করা লক্ষ্য থাকলেও তা বাস্তবে সম্ভব হয়নি। তবে নিজেদের খামতি গুলি শুধরে নিয়ে নতুন মরশুমের জন্য ঘর গোছানোর কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছে কলকাতার এই প্রধান।
নয়া ফুটবলারদের চূড়ান্ত করার পাশাপাশি দলের বেশকিছু পুরনো ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে মশাল ব্রিগেড। এছাড়াও একের পর এক দাপুটে বিদেশি ফুটবলারদের দলে টানার ইঙ্গিত মিলেছে আগেই। এবার শুধু সরকারি ঘোষণার অপেক্ষা। এখন সেই দিকেই নজর রয়েছে আপামর লাল-হলুদ জনতার।
পাশাপাশি ভারতীয় ব্রিগেডকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বেশ কিছু জুনিয়র ফুটবলারদেরও দলের টানতে মরিয়া কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। তার আগেই আজ বিকেলে তাজবেঙ্গলে বিশেষ সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। যেখানে ক্লাবের নব নির্বাচিত সমিতির বৈঠকের আয়োজন করা হয়। আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দল গঠন প্রসঙ্গে মুখ খোলেন ক্লাব শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার।
তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় এবার দল অনেকটাই শক্তিশালী হবে। আমরা ধীরে ধীরে গোটা বিষয়টির দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা নিজেদের অস্থিত্ব বজায় রেখেই ক্লাবের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো মজবুত করতে চাইছি। এই বছরে সেই নিয়ে আমরা যথেষ্ট আশাবাদী। পরবর্তীতে আবারো সেই দিকে নজর দেওয়া হবে। ইস্টবেঙ্গল যেকোনো টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলে। প্লে-অফে যাওয়ার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য থাকবে।
পাশাপাশি দলের ভারসাম্য বজায় রাখার দিকে ও নজর দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে মোহনবাগানকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের পড়শী ক্লাব অন্য একটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তাদের পরিকাঠামো নিয়ে এগোচ্ছে। তারা বহু বছর ধরে কাজ করছে। আমরা সবে তিন থেকে চার বছর হল এসেছি। তারফলে পার্থক্য কিছুটা হলেও থাকবে। তবে আমরা সবরকম ভাবেই চেষ্টা চালাচ্ছি।