স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে নয়া মরশুমে সেজে উঠেছে ইমাম ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। এক্ষেত্রে পুরোনো বেশ কিছু ফুটবলারদের দলের রেখে দেওয়া হলেও একের পর এক দাপুটে ভারতীয় ফুটবলারদের যুক্ত করা হয় এই দলের সঙ্গে। যাদের মধ্যে ছিলেন নন্দকুমার শেখর থেকে শুরু করে নিশু কুমার, মান্দাররাও দেশাই, প্রভসুখান সিং গীলের মতো ফুটবলাররা।
এছাড়াও বিদেশি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে স্প্যানিশ বছর উপরেই ভরসা রেখেছিল লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। তার কথামতোই দলে আনা হয় সাউল ক্রেসপো থেকে শুরু করে বোরহা হেরেরা, জর্ডান এলসি সহ জাভিয়ের সিভেরিও টোরোর মত ফুটবলারদের। বলতে গেলে এই ফুটবলারদের নিয়েই ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। চূড়ান্ত সাফল্য না এলেও দলের পারফরম্যান্সে খুশি ছিল সকলেই।
পরবর্তীতে সমান পরিকল্পনা নিয়ে আইএসএল শুরু করার ভাবনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। প্রথম ম্যাচে জামশেদপুর এফসি বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই খুশি থাকতে হয়েছিল লাল-হলুদকে। পরবর্তী ম্যাচে জয় আসলেও তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। এরপর টানা তিন ম্যাচে একের পর এক পরাজয়। যা দেখতে একেবারেই অভ্যস্ত লাল-হলুদ সমর্থকেরা। তবে নর্থইস্ট ম্যাচ থেকে ফের ঘুরে দাঁড়ায় ইস্টবেঙ্গল।
কিন্তু পরবর্তী ম্যাচের জয় না আসলেও মুম্বাই সিটি এফসি থেকে শুরু করে ওডিশার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট নিয়ে আসে ছেলেরা। এভাবেই শেষ হয় ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম লেগ। তারপর এই নতুন বছরে কলিঙ্গ সুপার কাপের প্রথম ম্যাচেই হায়দরাবাদকে পরাজিত করে ইস্টবেঙ্গল। আগামী ১৪ তারিখ এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীনিধি ডেকানের মুখোমুখি হবে মশাল ব্রিগেড।
কিন্তু তার আগে এবারের উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের সমস্ত খামতি গুলো মিটিয়ে নিতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। এক্ষেত্রে দলের আক্রমণ ভাগকে আরো শক্তিশালী করাই একমাত্র লক্ষ্য কুয়াদ্রাতের। ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেটন সিলভা বল পায়ে গোল করলেও নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ থেকেছেন স্প্যানিশ তারকা জাভিয়ের সিভেরিও টোরো। সেজন্য তার বিকল্প হিসেবেই খেলোয়াড় খোঁজার কাজ শুরু করেছিল ম্যানেজমেন্ট। এক্ষেত্রে বহুদিন ধরেই উঠে আসছিল এক স্প্যানিশ তারকার নাম। তিনি ইয়াগো ফালকে। একটা সময় স্পেনের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাব রিয়েল মাদ্রিদের হয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ফালকে।
পরবর্তীতে জুভেন্টাস ও বার্সেলোনার মতো সফল ক্লাবে খেলেছেন তিনি। তবে সেখানেই শেষ নয় পরবর্তীতে টটেনহ্যাম থেকে শুরু করে সাউদাম্পটন, রিও ভলক্যানো হোক কিংবা রোমা। সব ক্লাবেই চুটিয়ে খেলেছেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে তার আসার কথাই প্রবল ভাবে উঠে আসছিল ভারতীয় ফুটবল মহলে। বর্তমানে সেই নিয়ে উঠে এসেছে নয়া তথ্য।
যতদূর খবর, নতুন সিজনে লাল-হলুদে খেলার জন্য নাকি মৌখিক সম্মতি জানিয়েছেন এই তারকা ফুটবলার। তাই সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সরকারিভাবে ঘোষণা করা হতে পারে ফালকের নাম। তবে গত কয়েকটি মরশুমে চোটের দরুন যথেষ্ট ভুগছেন এই তারকা। তাই সবদিক মাথায় রেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ম্যানেজমেন্ট।