সুপার কাপ জিতে ট্রফি খরা কাটিয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। আগামী মরসুমে খেলবে এশিয়ান টুর্নামেন্ট। আন্তর্জাতিক মঞ্চের কথা মাথায় রেখেই নতুন মরসুমের দল সাজাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। মাঝমাঠের দিকেও দেওয়া হচ্ছে নজর।
ইস্টবেঙ্গলের দল গঠন সংক্রান্ত জল্পনা যথারীতি জারি রয়েছে। লেসলি ক্লডিয়াস স্ট্রিটে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে একাধিক ফুটবলারের নাম। যার মধ্যে অধিকাংশই হয়তো জল্পনার স্তরে। ভারতীয় ফুটবলের তরুণ মিডফিল্ডার জিতেশ্বর সিং-এর নামও শোনা গিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলেছে জল্পনা।
Mohammedan SC: ব্রাজিলের নামকরা ফুটবলারকে দলে নিতে পারে মহামেডান
জিতেশ্বর সিং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যোগ দেবেন কি না সেটা এখনই জানার উপর নেই। তবে একটা বিষয় জোর দিয়ে বলা যেতে পারে , গত মরসুমের থেকে সামনের মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঝ হতে পারে অনেকটা শক্তিশালী। ২০২৩-২৪ মরসুমে মাঝমাঠে পারফরম্যান্স অনেকটা নির্ভর করে ছিল সাউল ক্রেসপো ও সৌভিক চক্রবর্তীর খেলার ওপর। আসছে মরসুমে কোচের হাতে থাকতে পারে আরো বেশি বিকল্প। ভাল মানের সিডিএম বা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার সই করাতে পারে লাল হলুদ শিবির।
২০২৩-২৪ মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ অনেকটা ব্যক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছিল। সাউল ক্রেসপো ও সৌভিক চক্রবর্তী, এই দুই ফুটবলারের ওপর অনেকটা নির্ভর করেছিল ইস্টবেঙ্গল এফসির মাঝমাঠ। এই দু’জনের মধ্যে কোনো একজন মাঠে উপস্থিত না থাকলে চাপ বাড়ত অন্যজনের ওপর। প্রভাব পড়েছে দলের খেলায়। নতুন মরসুমে ইমামি-ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এ ব্যাপারে নিশ্চই ভেবে দেখেছেন।
প্রতিপক্ষকে হেলায় হারিয়ে শীর্ষেই রইল Mohun Bagan
সাউল কিছুটা ওপরের দিকে উঠে আক্রমণভাগে খেলতে পছন্দ করেন। তাঁর বাড়ানো বল থেকে সুবিধা পেয়েছেন আক্রমণভাগের ফুটবলাররা। প্রথম একদশে ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে লাল হলুদ স্কোয়াডে একজন ডিডিফেন্সিভ মাইন্ডের ফুটবলার দরকার, যার নীচ থেকে বল ডিস্ট্রিবিউশন ক্ষমতা ভালো। নতুন মরসুমের জন্য ইস্টবেঙ্গল নতুন মিডফিল্ডার সই করাবে বলে আশা করা হচ্ছে।