গত মরসুমের ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া কলকাতার শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। কখনও বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ঝামেলা তো কখনও আবার ট্রান্সফার ব্যানের হুমকির মুখে পড়া। সব মিলিয়ে বিতর্কে জেরবার লাল-হলুদ বাহিনীর মাঠের পারফরম্যান্সও একেবারে লজ্জাজনক।
তবে অতীত ভুলে এবার সামনে তাকানোর পালা। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে শ্রী সিমেন্টের মধুচন্দ্রিমা যে শেষের মুখে তা আগেই জানিয়েছিলেন হরিমোহন বাঙ্গুর। খুব দ্রুত ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছেদ করে তাদের স্পোর্টিং রাইটস ফিরিয়ে দিতে চলেছে শ্রী সিমেন্ট। চলতি মাসের মধ্যেই তা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও, আইনি জটিলতার কারণে সম্ভব হয়নি। তবে আশা করা যাচ্ছে, এপ্রিল মাসের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যেই সমস্ত জট কেটে যাবে। ইস্টবেঙ্গল থেকে পাকাপাকি ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে ‘এসসি’। আর নতুন স্পনসরের খোঁজে বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে জোর আলোচনা চালাচ্ছেন লাল-হলুদ কর্তারা। সেই কারণে কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ থেকেও ঘুরে এসেছেন তারা।
ললা-হলুদ ক্লাবের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, এই মরসুমে কলকাতা লিগ খেলবে তারা। সেই মতো এখন দল গঠনের কাজ শুরু না করলেও, প্রস্তুতির কোনও অভাব নেই। তবে কলকাতা লিগে হাইপ্রোফাইল কোনও কোচ বা ফুটবলারকে না এনে ঘরোয়া ফুটবলারদের দিয়ে এই প্রতিযোগিতা খেলার কথা ভাবছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলার জন্য দলগঠনের আগে তাই কোচের নাম ঠিক করে নিতে চাইছেন ক্লাব কর্তারা। সূত্রের খবর, এই দৌড়ে রয়েছেন শঙ্করলাল চক্রবর্তী এবং রঞ্জন ভট্টাচার্য। ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলের দায়িত্বে থাকার পাশাপাশি দলের সহকারি হিসাবেও কাজ করেছেন রঞ্জন। এছাড়া বাংলাকে সন্তোষ ট্রফিতে কোচিং করিয়েছেন তিনি।
তবে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, এই দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে শঙ্করলাল। মোহনবাগানকে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন করানোর পাশাপাশি মহামেডান স্পোর্টিংয়েও কোচিং করিয়েছেন শঙ্করলাল। দুই প্রধানের দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে সামলানোর ফলেই তাঁর দিকে পাল্লা ভারি। তাছাড়া আসন্ন মরসুমে আইএসএলে শঙ্করলালকে সহকারি কোচের দায়িত্ব দেওয়ার চিন্তা-ভাবনাও করছেন লাল-হলুদ কর্তারা। সেক্ষেত্রে প্রথম থেকেই ইস্টবেঙ্গলকে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে কোচিং করালে, ভালো মানের দেশীয় ফুটবলার খুঁজতেও সুবিধা হবে শঙ্করলালের পক্ষে। তাই বাগানের এই প্রাক্তনীর কাঁধেই এবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে ময়দানে।