শনিবার আইএসএল ডার্বির আগে শেষ ম্যাচ ছিল কলকাতা লিগের (Calcutta League) ভবানীপুর ম্যাচ। কিন্তু প্রয়োজনীয় অক্সিজেন তুলতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল। এদিন কল্যাণীতে ভবানীপুরের কাছে ২-০ গোলে হার মানলো ইমামি ইস্টবেঙ্গল।
একইসঙ্গে কলকাতা লিগ জয়ের স্বপ্ন পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে গেল শতবর্ষ প্রাচীণ ক্লাবের। ফুটবলে একটা কথা আছে খেলার প্রথম ১৫ মিনিটে মাঝমাঠ যার, ম্যাচ তার। এদিনও সেটাই হল, প্রথম ১৫ মিনিটেই বাজিমাত করল ভবানীপুর। এরসঙ্গে দোসর, ইস্টবেঙ্গলের ছন্নছাড়া ডিফেন্স। ম্যাচের প্রথম থেকেই নজরে পড়ে ডিফেন্সের গাফিলতিগুলো। ISL-এর দলে থাকা ৩ জন ফুটবলারকে নিয়ে নেমেও জয় এল না। কোচিংয়ে ছিলেন লাল হলুদের সহকারী কোচ বিনো জর্জ।
রঞ্জন চৌধুরির ভবানীপুর ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে। তার ফলও পাওয়া যায়। ম্যাচের ১৮ মিনিটে ওপেন ক্লিয়ারেন্স নিয়ে ভবানীপুরের জিতেন মুর্মু গোল করে যান। গোল পেয়ে ভবানীপুর যেন আরও আক্রমণ বাড়িয়ে দেয় খেলায়। ম্যাচের ৩০ মিনিটে জিতেন মুর্মুর জোরাল শট সুন্দরভাবে সেভ করেন সুরেশ। ইস্টবেঙ্গল কোনও সুযোগই তৈরী করতে পারেনি। ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার একদম শেষদিকে কিংশুক দেবনাথ লাল হলুদ বক্সে গিয়ে আর একবার গোলের জায়গা তৈরী করেন, কিন্তু গোল হয়নি। প্রথমার্ধে শেষ হয় ১-০ ব্যবধানে।
দ্বিতীয়ার্ধেও লাল হলুদ দলের আক্রমণের সেই ছন্দ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৫২ মিনিটে সঞ্জীব ঘোষ কর্নার থেকে একবার সুযোগ পেলেও সেটায় গোল আসেনি। ৬৬ মিনিটে গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারত ভবানীপুর। গোল করেন ফের জিতেন মুর্মু। কিন্তু ক্রিজোর হাতে লাগলে রেফারি গোল বাতিল করেন। ম্যাচের শেষ লগ্নে ফের গোলের সুযোগ তৈরী করেন ভবানীপুরের জিতেন মুর্মু।
কিন্তু লাল হলুদের গোলকিপার সুরেশ জয়সয়াল দক্ষতার সঙ্গে সেভ করেন। ভবানীপুরের জিতেন যেন এদিন গোল করতেই নেমেছিলেন ফের ৭৩ মিনিটে তিনি অসাধারণ গোল করে যান। ইস্টবেঙ্গল ২ গোল খেয়ে ব্যাকফুটে চলে যায়। এরপর একাধিক চেষ্টা করলেও গোলমুখ খুলতে পারেনি লাল হলুদ। বিনো জর্জের কোনও স্ট্র্যাটেজিই কাজে আসেনি। সব মিলিয়ে ডার্বির আগে ভালো বার্তা হল না সমর্থকদের জন্য। যদিও এই দলটা ডার্বিতে খেলবে না।