মরশুমের শুরুটা খুব একটা আরামদায়ক না হলেও ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরেছে ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র ফুটবল দল (East Bengal Junior Football Team)। কলকাতা লিগে অনবদ্য ছন্দ থাকলেও শেষ পর্যন্ত মহামেডান স্পোটিং ক্লাবের কাছে পরাজিত হয়ে ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল তাদের। কিন্তু রিলায়েন্স কর্তৃক আয়োজিত ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট লিগ থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। প্রথম ম্যাচে আটকে যেতে হলেও পরবর্তীতে নিজেদের দুরন্ত ছন্দে ফিরে আসে মশাল ব্রিগেড। গতবারের ধারা বজায় রেখেই এই বছর টুর্নামেন্টের ইস্টজোন থেকে চ্যাম্পিয়ন হয় লাল-হলুদ শিবির।
পরবর্তীতে জাতীয় স্তরের গ্ৰুপ পর্বে ও বজায় থাকে সেই ট্রেন্ড। একের পর এক শক্তিশালী ফুটবল দলকে সহজেই পরাজিত করতে সক্ষম হয়ে ইস্টবেঙ্গলের ছোটরা। সেখান থেকে অনায়াসেই ডেভেলপমেন্ট লিগের সেমিফাইনালের টিকিট পেয়ে গিয়েছিল বিনো জর্জের ছেলেরা। লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী মুথূট ফুটবল অ্যাকাডেমির বিপক্ষে। একটা সময় তাদের বিপক্ষে দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে গিয়েছিল মশাল ব্রিগেড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত কামব্যাক। শ্যামল বেসড়া থেকে শুরু করে পিভি বিষ্ণু এবং সুমন দের অনবদ্য গোল লড়াকু মেরাজে এনে দেয় তাদের। যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়িয়েছিল ট্রাইবেকারে। সেখানেই এক গোলের ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করে কলকাতার এই প্রধান দল৷
যার সুবাদে এবার নতুন মরশুমে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেবে লাল-হলুদের ছোটরা। নতুন সিজেনে এবার নেক্সট জেনারেশন কাপের যোগ্যতা অর্জন করল বিনো জর্জের ছেলেরা। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়ে যাবে দল। সেখানকার বেশ কিছু শক্তিশালী ফুটবল ক্লাবের পাশাপাশি প্রিমিয়ার লিগের দলগুলি সঙ্গে খেলবে শ্যামলরা। বলতে গেলে, নতুন মরশুমে ইস্টবেঙ্গল একমাত্র ফুটবল দল যারা সিনিয়র এবং জুনিয়র উভয় ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে।

