East Bengal: প্রায় দেড় কোটি টাকা বকেয়া, মাঠে বাইরেও প্রবল চাপে ইস্টবেঙ্গল

চলতি আইএসএল একেবারে দুঃস্বপ্নের মতো কাটছে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) কাছে। ১৬টি ম্যাচ খেলে জয়ের দেখা পেয়েছে মাত্র একটিতে। লিগ তালিকার একেবারে তলানীতে রয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড।…

চলতি আইএসএল একেবারে দুঃস্বপ্নের মতো কাটছে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) কাছে। ১৬টি ম্যাচ খেলে জয়ের দেখা পেয়েছে মাত্র একটিতে। লিগ তালিকার একেবারে তলানীতে রয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবে শুধু মাঠের ভিতরে নয়, মাঠের বাইরেও সময়টা একেবারে ভালো কাটছে না শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের।

সাত ফুটবলারদের বকেয়া বাবদ প্রায় দেড় কোটি টাকার বোঝা চেপেছে ইস্টবেঙ্গলের মাথায়। এই অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মেটাতে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। নাহলে ট্রান্সফার ব্যানের কবলে পড়বে লাল-হলুদ। তবে লাল-হলুদ ক্লাবের তরফে শ্রেণিক শেঠ জানিয়েছেন, পুরনো খেলোয়াড়দের নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এই ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তিই করেনি শ্রীসিমেন্ট। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি এসসি ইস্টবেঙ্গলকে জানিয়ে দিয়েছে, সাত জন ফুটবলারের টাকা মিটিয়ে দেওয়া এখনও বাকি। এই অঙ্ক প্রায় দেড় কোটি টাকার কাছাকাছি।

কেভিন লোবো, রিনো অ্যান্টো, সিকে বিনীত, কিগান পেরেরা, গিরিক খোসলা, অনিল চৌহান এবং ইউজেনসন লিংডো কলকাতার জায়ান্ট ক্লাবটির বিরুদ্ধে টাকা না মেটানোর অভিযোগ জানিয়েছে কমিটিতে। জানা গিয়েছে, লোবোর ৪১ লক্ষ টাকা, অ্যান্টোর ২৬ লক্ষ, বিনীত ও লিংডোর ২১ লক্ষ, পেরেরার ১৬.৮০ লক্ষ, চৌহানের ১০.২৮ লক্ষ এবং খোসলা ৬.৩০ লক্ষ টাকা পাবেন।

২০২০ সালে ফুটবলাররা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন লাল-হলুদের সঙ্গে। সেই বছরের সেপ্টেম্বরে শ্রী সিমেন্ট দায়িত্ব নেয় ইস্টবেঙ্গলের। শ্রেণিক শেঠ আরও জানান, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য চিঠি দিয়েছেন প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিকে। তিনি বলেন, ‍‘এরা তো আমাদের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় নয়। এদের দায়ও আমাদের নয়। এই ফুটবলারদের নিয়েই সমস্যা হচ্ছে। আমরা আবেদন জানিয়েছি প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে। এখন ওদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি।’