এবারের ডুরান্ড কাপ থেকেই অন্য ছন্দে ধরা দিয়েছে লাল-হলুদ (East Bengal) ব্রিগেড। তবে ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সেনা দলের বিপক্ষে ২ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে তা আর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। যারফলে, নির্ধারিত সময়ের শেষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয় দলকে।
কিন্তু পরবর্তীতে ডার্বি ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় ময়দানের এই প্রধান। শক্তিশালী মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস দলকে অপ্রত্যাশিতভাবে হারিয়ে নিজেদের হারানো ছন্দে ফেরে মশাল ব্রিগেড। তারপর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব এফসির বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে স্থান করে নেয় কলকাতার এই প্রধান।
পরবর্তীতে মুখোমুখি হতে হয় আইলিগ জয়ী গোকুলাম কেরালা দলের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে গোকুলাম ফুটবলারদের যথেষ্ট লড়াকু মেজাজে দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে ইস্টবেঙ্গল ব্রিগেড। সেখান থেকে সোজা সেমিফাইনাল। যেখানে তাদের লড়াই করতে হয় আইএসএলের অন্যতম দল নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে প্রথমদিকে পিছিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে সমতায় ফিরে ট্রাইবেকারে জয় তুলে নেয় মহেশরা। তারপর ডুরান্ড কাপের ফাইনাল। যেখানে তাদের মুখোমুখি হয় মোহনবাগান দলের বিপক্ষে।
নির্ধারিত সময়ের শেষে সেই ১ গোলের নিরিখে ট্রফি জয় করে মেরিনার্সরা। যারফলে, এই নিয়ে মোট ১৭ বার ডুরান্ড জিতল মোহনবাগান। যা দেখে খুশি সবুজ-মেরুন জনতা। অন্যদিকে, হতাশার ছবি ধরা পরেছিল লাল-হলুদ শিবিরে। তবে ডুরান্ড ফাইনালের সমস্ত ভুল গুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে আইএসএল অভিযান শুরু করতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল দল। সেইজন্য, কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের তত্ত্বাবধানে কঠোর অনুশীলন চালাচ্ছে গোটা দল। এসবের মাঝেই আগামী ১৮ তারিখ ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িন এফসির বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামছে ক্লেটনরা।