বহু অপেক্ষার পর জাতীয় স্তরের ট্রফি এসেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবে। শক্তিশালী ওডিশা এফসিকে পরাজিত করে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দল। যারফলে, বহু বছর পর আবারো আন্তর্জাতিক স্তরে লড়াই করবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কিছুতেই যেন ছন্দ ফেরাতে পারছে না ময়দানের এই প্রধান।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগানের বিপক্ষে দাপুটে পারফরম্যান্স দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে একের পর এক ম্যাচে পরাজিত হতে হয় তাদেরকে। তবে সিংতোর হায়দরাবাদ এফসির বিপক্ষে জয় আসলেও ফের জামশেদপুর এফসির কাছে হোঁচট খেতে হয়েছে মহেশদের। যদিও গত ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে চেন্নাই এফসিকে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে এবার বড় লক্ষ্য। সেই নিয়ে এবার মুখ খুললেন কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat)।
উল্লেখ্য, দলের দুই স্প্যানিশ ফুটবলার তথা জাভিয়ের সিভেরিও টোরো এবং বোরহা হেরেরাকে লোনের মাধ্যমে জামশেদপুর এবং এফসি গোয়ায় পাঠিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। তারপর থেকেই যেন ছন্দ হারিয়েছে দল। আসলে এই দুই ফুটবলারের অনুপস্থিতি মাঝ মাঠে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে একের পর এক ক্লাব।
তবে ভিক্টর ভাসকুয়েজ ও কোস্টারিকান তারকা ফেলিসিও ব্রাউন ফোবর্সকে আনা হলেও এখনো পর্যন্ত খুব একটা খুশি করতে পারেননি দলের সমর্থকদের। এই পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন দুই ফুটবলারের বদল নিয়ে। সেই নিয়েই এবার মুখ খুলেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তিনি বলেন, এবারের আইএসএলে দলের পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে খুব একটা অবদান ছিল না এই দুজনের। তাই দ্বিতীয় লেগের আগেই তাদের ছাড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কুয়াদ্রাত আরো বলেন, সামনেই এএফসির টুর্নামেন্ট। যেখানে লিগ টায়ার টুয়ের কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। সেজন্য, তিনি এমন কাউকে দলে রাখতে চান না। দলের পারফরম্যান্সে যাদের সেরকম কোনো অবদান নেই। পাশাপাশি দলের নয়া ডিফেন্ডার আলেকজান্ডার প্যান্টিচের পারফরম্যান্সে যথেষ্ট খুশি থাকার কথা জানান এই স্প্যানিশ কোচ। তবে ভাসকুয়েজ এবং ব্রাউন এত অল্প সময়ের মধ্যে যে সক্রিয়তা দেখিয়েছে তা সহজেই নজর কেড়েছে কোচের।