Kalinga Super Cup: ম্যাচের রেফারিং নিয়ে খুব একটা খুশি নন কুয়াদ্রাত

carles cuadrat

অবশেষে সেই বহু প্রতীক্ষিত ডার্বি ম্যাচ (Kalinga Super Cup)।  যেখানে মুখোমুখি হবে কলকাতা ময়দানে দুই প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস ফুটবল দল। গত কয়েকটি মরশুম লাল-হলুদের জন্য খুব একটা সুখকর থাকেনি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের কাছে প্রত্যেক ম্যাচই পরাজিত হতে হয়েছিল তাদেরকে।

Advertisements

তবে এই নতুন মরশুম থেকে একেবারে আলাদাই ছন্দে ধরা দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ডার্বিতেই তারা পরাজিত করেছিল মোহনবাগানকে। যদিও পরবর্তীতে ডুরান্ড ফাইনালে ফের পরাজিত হতে হয় বাগান ব্রিগেডের কাছে। তবে এদিন ছিলবদলার লড়াই লাল-হলুদের। পাশাপাশি কলিঙ্গ সুপার কাপের ডু অর ডাই ম্যাচ ও বলা যেতে পারে। কারণ ম্যাচ জিতলেই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে চলে যাবে দুই প্রধানের এক প্রধান।

এক্ষেত্রে শুক্রবারের ম্যাচ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সকলের কাছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী দেখলে  এই ম্যাচ জিতলে টুর্নামেন্টের সেমিতে চলে যাবে মোহনবাগান। অন্যদিকে,  এই ম্যাচ ড্র করলেই সেমির টিকিট কনফার্ম করবে মশাল ব্রিগেড। তবে লড়াইটা যে খুব একটা সহজ হবে না তা ভালো মতোই বুঝতে পারছেন সকলে।

Advertisements

বিশেষ করে ডার্বি ম্যাচের উন্মাদনা যে আলাদাই মাত্রা পায় খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সমর্থকদের কাছে তা নতুন করে বলার নয়। তবে কেউই যে কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি নয় সেটাও পরিষ্কার। তবে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ম্যাচ রেফারি সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন করে বিতর্ক। এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে রেফারীর বিতর্কিত সিদ্ধান্তের দরুন যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়েছে ময়দানের দুই প্রধান তথা ইমাম ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান দলকে।

তাই সংবাদমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে রেফারি প্রসঙ্গে লাল-হলুদ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত বলেন, এবারের এই সুপার কাপে এখনো পর্যন্ত আমরা মোট তিনটি গোল খেয়েছি। যার মধ্যে দুটো এসেছে পেনাল্টি থেকে। বলতে গেলে আমাদের বিপক্ষে পেনাল্টি দিতে কোন দ্বিতীয়বার বিবেচনা করেননি ম্যাচ রেফারি। তবে অন্য দলগুলি ক্ষেত্রে যখন বক্সে ফাউল হয়েছে তখন বাঁশি বাজানোর প্রয়োজন মনে করেননি রেফারি। অর্থাৎ এবারের এই টুর্নামেন্টের রেফারিং নিয়েও যে খুব একটা সন্তুষ্ট নন স্প্যানিশ কোচ তা কিন্তু পরিষ্কার।