চলতি মরশুমের শুরুটা এবার ও খুব একটা ভালো হয়নি ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। কলকাতা লিগের পাশাপাশি এবারের আইএসএলে ও মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে তাদের। প্রথম দিকে প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই করলেও ম্যাচ যত এগিয়েছে ততই নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে দলের খেলোয়াড়দের।
যারফলে পয়েন্ট টেবিলের ৯ নম্বরে থেকেই অভিযান শেষ করতে হয়েছে নাওরেম-ক্লেটনদের। অপরদিকে একেবারে অন্যরকম ছন্দে দেখা দিয়েছে জুনিয়রদের। রিলায়েন্স কতৃক আয়োজিত ডেভলপমেন্ট লিগের দ্বিতীয় বর্ষে শুরু থেকেই ব্যাপক ছন্দে থেকেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। প্রথম ম্যাচে ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবকে ১-০ গোলে পরাজিত করার পর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী থেকেছে তুহিন-জেসিনরা।
তারপর নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘ হোক কিংবা ওডিশা এফসি উভয় দলকেই হারিয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। পাশাপাশি তারা আটকে দিয়েছে এটিকে মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী দল কে। এরপরে জামশেদপুরের বিপক্ষে লড়াই করে পরাজিত হতে হলেও কলকাতার আরেক প্রধান মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ২ গোলে জয় পেয়ে ফের জয়ের সরনীতে ফেরে বিনো জর্জের ছেলেরা। আগামী ৭ তারিখ রিলায়েন্স ডেভলপমেন্ট লিগে ফের মুখোমুখি ইমামি ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগান।
সেইজন্যই প্রস্তুতি তুঙ্গে দুই শিবিরের। একই দিনেই দল নিয়ে অনুশীলন করল দুটি ক্লাব। গত ডার্বিতে পেনাল্টি পেয়ে ও তা কাজে লাগাতে পারেনি সবুজ-মেরুন শিবিরের নামতে। ডবল সেভ দিয়ে দলের সাক্ষাৎ পতন আটকে দিয়েছিলেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক আদিত্য পাত্র। তাই ফিরতি ম্যাচে জয় সুনিশ্চিত করতে মরিয়া মোহনবাগান। অন্যদিকে, গত ম্যাচে যথেষ্ট নড়বড়ে লেগেছে লাল-হলুদের দুটো উইং কে। তাছাড়াও খেলোয়াড়দের একাধিক ভুলভ্রান্তি দেখা দিয়েছিল গোটা ম্যাচ জুড়ে।
তাই আসন্ন ম্যাচের আগে সমস্ত কিছু শুধরে নিয়েই মাঠে নামতে চায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। তাই আজ কিছুটা শক্ত হাতেই খেলোয়াড়দের অনুশীলন করাতে দেখা গেল দলের কোচ বিনো জর্জ কে। লাঠি হাতে খেলোয়াড়দের কঠোর অনুশীলন করানোর পাশাপাশি মাঝে মধ্যে তাদের বকাঝকা করতে দেখা গেল জুনিয়র দলের এই কোচ কে। শেষ পর্যন্ত সকলকে বুঝিয়ে দিতে ও দেখা যায় এই কোচ কে। এই সক্রিয়তা আসন্ন ডার্বিতে কতটা প্রভাব ফেলে সেটাই দেখার।