ঘরের মাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল (East Bengal FC)। ইস্টার্ন রেলওয়ের বিরুদ্ধে তারা ৩-০ গোলে জয়লাভ করেছে। এই ম্যাচে খেলতে নামার আগেই কোচ বিনো জর্জ বলেছিলেন যে তিনি প্রতিটা ম্যাচ ধরে এগোতে চান। সেই লক্ষ্যেই আপাতত এগিয়ে চলেছে তাঁর দল। এই ম্য়াচে জয়ের পাশাপাশি লিগ টেবিলে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। তাদের ঝুলিতে ইতিমধ্যেই সাত ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট চলে এসেছে। তালিকায় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে ভবানীপুর এবং কলকাতা কাস্টমস রয়েছে।
রেলের বিরুদ্ধে জয়ের পাশাপাশি লিগ পর্যায়ে অপরাজিত রইল ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, লাল-হলুদের বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে এবং মিসও করে। শেষপর্যন্ত ম্যাচের ৩২ মিনিটে আসে কাঙ্খিত গোল। ৩২ মিনিটে মহম্মদ মুশারফ ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন। বক্সের ভিতর থেকে ডান পায়ে একটি দুর্দান্ত শট করে তিনি দলের ব্যবধান বাড়িয়ে দেন।
প্রথমার্ধের শেষদিকে আবারও ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৪২ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বলটা নিখুঁত প্লেসমেন্ট করেন সিকে আমন। তাঁর শটে একদিকে যেমন গতি ছিল, ঠিক তেমনই ছিল নিয়ন্ত্রণ। আমনের এই পারফরম্যান্স ইতিমধ্যেই সকলের নজর কেড়েছে। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের আশা, এই পারফরম্য়ান্স যদি আমন ধরে রাখতে পারেন, তাহলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের জন্য কার্লেস কুয়াদ্রাত তাঁকে ভাবতেই পারেন।
প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল ২-০ গোলে এগিয়ে গেলেও ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তারা বেশ কয়েকটি সুযোগ অবশ্য নষ্ট করে। সেগুলো যদি বিপক্ষের জালে ঢোকানো যেত, তাহলে এই ম্যাচের ফল আলাদা হতেই পারত। যাইহোক, এই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল একটাই মাত্র গোল করে। ৭৭ মিনিটে কাজের কাজটি সেরে ফেলেন জেসিন টিকে। তিনি ডানদিক থেকে একক দক্ষতায় বলটা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে আসেন। এরপর বিপক্ষের রক্ষণকে পরাস্ত করে বাঁ পায়ে বলটা রেলওয়ের তেকাঠিতে ঢুকিয়ে দেন। শেষপর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল এই ম্যাচে ৩-০ গোলে জয়লাভ করে।