শনিবার (ISL) যুবভারতী স্টেডিয়ামে চেন্নাইয়িন এফসির (Chennaiyin FC) বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। এই মরণ-বাচন ম্যাচে লাল-হলুদ শিবিরের ভরসা সদ্য যোগ দেওয়া বিদেশি ফরোয়ার্ড রাফায়েল মেসি বাউলি। লিগের প্রথম পর্বে ৭ ডিসেম্বর চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সে সময় ভারতীয় ফুটবলারদের দারুণ প্রদর্শন ছিল নজর কাঠা। যদিও বিদেশিরা তেমন কিছু করতে পারেননি। কিন্তু এবার ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল প্রেমীরা নতুন বিদেশি মেসি বাউলির দিকে তাকিয়ে আছেন।
গত ডিসেম্বরের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল হয়ে গোল করেছিলেন বিষ্ণু, জিকসন সিং। তাদের এই সাফল্যের পর আবার চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে নতুন উৎসাহ নিয়ে মাঠে নামছে ইস্টবেঙ্গল। তবে, এই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে মেসি নিয়ে। মেসি নামটা শুনলেই বিশ্ব ফুটবল তথা সমর্থকদের মনে এক ধরনের আলাদা আবেগ তৈরি হয়। ক্যামেরুন থেকে আসা এই ফরোয়ার্ডের নামের সঙ্গে মেসির সাদৃশ্য দেখে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা তাঁকে মেসি নামেও ডাকছেন। তবে, মেসির মাঠের পারফরম্যান্স কেমন হবে, তা দেখাই এখন বাকি।
শুক্রবার বিকেলে কলকাতায় এসেই যোগ দিয়েছিলেন দলের সঙ্গে অনুশীলনে। কোচ অস্কার ব্রুজো বলেন, ‘মেসি ভালো ফুটবল জানে। সে নিশ্চয়ই দলের জন্য উপকারী হবে। তবে, খুব বেশি না খেলিয়ে ২০ মিনিটের মতো তাকে মাঠে নামানোর পরিকল্পনা করছি।’
এদিকে, ইস্টবেঙ্গলের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্কোয়াডে আছেন আনোয়ার ও সাউল ক্রেসপোও। তবে কোচ জানিয়েছেন, আনোয়ারের চোট এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেনি, তাই তার খেলার সম্ভাবনা কম। সাউল অনুশীলন করেছেন, তবে তাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে কোচের। মেসি যদি মাঠে নামেন, তবে তার জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হতে পারে দলের সঙ্গে নিজের পরিচয় করানোর। কিন্তু কোচের মাথায় রয়েছে আরও কিছু বিষয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক ম্যাচ বাকি আছে, ছটি ম্যাচ রয়েছে। চেন্নাইয়ের সঙ্গে জয় পেলে আমরা সুপার সিক্সে পৌঁছানোর সম্ভাবনা বাড়াতে পারব।’
ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজো অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, জানুয়ারির পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে হেরে যাওয়া এবং একটি ড্র করার পর দলের অবস্থান কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবুও, তিনি আশাবাদী। কারণে পরাজিত হওয়ার পরও দলের মনোবল ভেঙে পড়েনি। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি, চেন্নাইয়ের সঙ্গে খেলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের শক্তি এখনও কম নয়। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে জিততে। চেন্নাইয়ের শক্তিকে অবহেলা করা উচিত নয়।’
এছাড়াও, ইস্টবেঙ্গলের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে তাদের ইতিমধ্যে হারানো ম্যাচগুলোর পুনরাবৃত্তি না ঘটানো। কোচ অস্কারের জন্য সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হবে দলকে কীভাবে উজ্জীবিত রাখা যায় এবং নতুন খেলোয়াড়দের সঠিকভাবে মাঠে নামিয়ে ম্যাচ জেতানো যায়।