নতুন সিজনের জন্য অনেক আগে থেকেই ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। বিশেষ করে ট্রান্সফার উইন্ডো খোলার পর থেকে আরও বেড়ে যায় সেই সক্রিয়তা। বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছিল যে আসন্ন ফুটবল মরসুমের কথা মাথায় রেখে বিদেশি ফুটবলারদের পাশাপাশি একাধিক দেশীয় প্রতিভাদের দলে চূড়ান্ত করে ফেলেছে ময়দানের এই প্রধান। শুধুমাত্র সরকারি শিলমোহর পাওয়ার অপেক্ষায় ছিল সকলে। গত কয়েক দিন ধরে সেই নিয়েই সকলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। পূর্বে দলের দুই দাপুটে ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি গতকাল এক তরুণ ডিফেন্ডারের যোগদানের কথা ঘোষণা করেছিল ম্যানেজমেন্ট।
এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন আরেক তরুণ মিডফিল্ডার। তিনি লালরামসাঙ্গা ত্লাইচুন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আসন্ন তিনটি মরসুমের জন্য লাল-হলুদ জার্সিতে খেলতে দেখা যেতে চলেছে বছর পঁচিশের এই মিজো ফুটবলারকে। শেষ মরসুমে আইলিগের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব রিয়াল কাশ্মীরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রামসাঙ্গা। একটা সময় নিজের রাজ্যের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব আইজল এফসি থেকে প্রথম উঠে এসেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে অন্যত্র যোগদান। তবে সময় তত এগিয়েছে ততই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এই ভারতীয় ফুটবলার।
উল্লেখ্য, শেষ আইলিগ মরসুমে দলের হয়ে খেলেছিলেন প্রায় ২১টি ম্যাচ। যার মধ্যে তিনটি গোল করার পাশাপাশি বেশ কিছু অ্যাসিস্ট ছিল এই মিজো ফুটবলারের। অর্থাৎ মাঝমাঠ সামাল দেওয়ার পাশাপাশি দলের প্রয়োজনে গোল তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে ও যথেষ্ট ভূমিকা ছিল এই দাপুটে ফুটবলারের। সবদিক মাথায় রেখেই দেশীয় ব্রিগেড শক্তিশালী করার পাশাপাশি মাঝমাঠের ভরসা জোগাতে এই ফুটবলারকে সই করাল মশাল ব্রিগেড। দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রামসাঙ্গা বলেন, “এই ক্লাবে যোগদান আমার কাছে স্বপ্ন পূরণের মতো। আমি আমার ছাপ রেখে যেতে চাই, যতটা সম্ভব ম্যাচ খেলতে চাই।”
আরও বলেন, “ইস্টবেঙ্গলকে ট্রফি জিততে সাহায্য করতে চাই। লাল-হলুদ জার্সি পরে দলের সকল সমর্থকদের সামনে খেলার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমি মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছি।” এই নয়া মরসুমে নিজেকে আদৌও কতটা মেলে ধরতে পারেন এখন সেটাই দেখার।