ধারা বজায় রেখে বসুন্ধরার পর নেজমেহ বিরুদ্ধে জয় মশাল বাহিনীর

শুক্রবার ভুটানের (Bhutan) স্টেডিয়ামে লেবাননের নেজমেহ এসসির (Nejmeh SC) বিরুদ্ধে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে (AFC Challenge League) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি (East…

East Bengal FC qualify to next round of AFC Challenge League

শুক্রবার ভুটানের (Bhutan) স্টেডিয়ামে লেবাননের নেজমেহ এসসির (Nejmeh SC) বিরুদ্ধে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে (AFC Challenge League) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal FC)। তাঁদের জন্য আজকের ম্যাচটি ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের, কিন্তু তাঁরা জয় অর্জন করতে পেরেছে। দিমিত্রিয়স ডায়ামান্টাকোস, আনোয়ার অলিরা আজ থিম্পুতে তাঁদের সমর্থকদের এক স্বর্ণালী পারফরম্যন্স উপহার দিয়েছে। নেজমেহর বিরুদ্ধে জয়লাভ করে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করে নিয়েছেন অস্কার ব্রুজোর দল।

KKR CEO tough decision: শ্রেয়াস আইয়ারকে ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন কেকেআর সিইও

   

ম্যাচ জয়ের পর মাঠে উদযাপনের দৃশ্য স্পষ্টই বলে দেয় যে এই জয় তাঁদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, যাদের আইএসএলের চলতি মরশুম শুরু পর ছয়টি ম্যাচে পরাজয়। যদিও গত ম্যাচে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড।

East Bengal FC : নেজমেহর বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও দুই গোল হজম করল অস্কারের ইস্টবেঙ্গল

ম্যাচ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই ইস্টবেঙ্গল দ্রুত গতি নিয়ে খেলা শুরু করে। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে তারা দুই গোল করে মাঠে মাতিয়ে তোলে। প্রথম গোলটি আসে নেজমে এসসির ঘানিজ স্বরূপ প্রতিরক্ষক থেকে, যিনি ভুল করে গোল করে বসেন। এরপরের গোলটি আসে একটি দুর্দান্ত আক্রমণে, যেখানে মশাল ব্রিগেডের দিমিত্রিয়স প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ওয়াল ভেঙে একাধিক পাস খেলে সহজেই গোল করেন।

East Bengal FC : লক্ষ্য কোয়ার্টার ফাইনাল, নেজমেহর বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে চমক ইস্টবেঙ্গলের

কিন্তু ১৮ মিনিটের পর থেকে খেলার গতি পাল্টাতে শুরু করে। নেজমেহ এসসি একটি কাউন্টার-অ্যাটাক থেকে গোল করতে সক্ষম হয়। কলিনস অপারে তাঁর মার্কারকে পরাস্ত করে গোলরক্ষক গিলের বিপক্ষে একা থেকে গোলটি করেন। এরপর থেকেই নেজমেহ ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সকে চাপ দিতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা একটি ফ্রি কিক লাভ করে এবং হুসেইন সেই সুযোগটি নিয়ে অসাধারণ একটি শট নিয়ে গোল করেন, যা প্রথমার্ধের শেষে স্কোর ২-২ করে দেয়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৪৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের কাছে একটি বড় সুযোগ ছিল গোলের ব্যবধান বাড়ানোর। নন্দকুমার একটি ভালো সুযোগ হাতছাড়া করেন। ধীরে ধীরে উভয় দলের খেলার স্তর আরও চড়া হতে থাকে।

৬৫ মিনিটে, মশাল ব্রিগেডের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু মাহেশ তাঁর ক্রস মিস করেন। এরপর ৭৬ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল একটি পেনাল্টি থেকে তৃতীয় গোল করে। ডায়ামান্টাকোস স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে পুনরায় এগিয়ে নিয়ে যায়। এটি ছিল পুরোপুরি বিপরীত গতির ম্যাচ, যেখানে অস্কার ব্রুজোর জন্য এটি একটি আশার আলো হয়ে দাঁড়ায়।

East Bengal FC : অগ্নিপরীক্ষা ইস্টবেঙ্গলের তৈরি মশাল বাহিনী

৮০ মিনিটে নেজমেহ আবারও একটি সুযোগ মিস করে। তাঁরা প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করছে, তবে পূর্ববঙ্গের প্রতিরক্ষা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। ৮৯ মিনিটে, ইস্টবেঙ্গল একটি দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাক করে, কিন্তু নেজমেহর গোলরক্ষক একটি চমৎকার দিয়ে সেভ করে।

ম্যাচের শেষ সময়ে, আনোয়ার অলিরা খেলার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম হয় এবং তাঁদের ডিফেন্স আরও দৃঢ় হয়ে যায়। নেজমেহর আক্রমণ ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে যায়। দলের ফুটবলরারা গভীরভাবে প্রতিরক্ষায় মনোযোগী হয়ে পড়ে এবং কাউন্টার অ্যাটাকে যাওয়ার চেষ্টা করে।

অবশেষে, ইস্টবেঙ্গল তাঁদের শক্তিশালী ডিফেন্স এবং সুনির্দিষ্ট আক্রমণের মাধ্যমে ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে, যা তাঁদের এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে অগ্রসর হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে। এই জয়ে ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়রা তাঁদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে এবং পরবর্তী পর্বে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত হবে।

Advertisements