ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ২০২৪-২৫ মরসুমে (ISL 2024-25 Session) ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) শুরুটা ছিল খুবই খারাপ ভাবে। প্রথমে পরাজয়ের পাহাড়ে চাপা পড়েছিল লাল হলুদরা। বিশেষত, স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের অধীনে একের পর এক পরাজয় দলকে আরও দুর্বল করে তোলে। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততে পারছিল না তারা, আর ভক্তদের হতাশা ছিল তুঙ্গে। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে, যখন দলের কোচ হিসেবে আসেন আরেক স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজো। তার অধীনে ইস্টবেঙ্গল ধীরে ধীরে খেলা গুছিয়ে ওঠে এবং দল আবার ছন্দে ফিরে আসে।
অস্কারের অধীনে দলের পারফরম্যান্সে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এক সময়ে হারের হ্যাটট্রিকের জালে বন্দী ইস্টবেঙ্গল এখন প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে মাঠে নামে। দলের পেশাদারিত্ব এবং স্কিলের উন্নতি, পাশাপাশি খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে, বর্তমানে লাল হলুদরা ২২ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লিগ তালিকায় ৮ নম্বরে উঠে এসেছে, যা তাদের ভক্তদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
ইস্টবেঙ্গল তাদের শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদকে ২-০ গোলে পরাজিত করে, যা তাদের প্লে অফে প্রবেশের সম্ভাবনা পুনরায় উজ্জীবিত করেছে। এই জয়ের পর, দলের ভক্তরা আবার সুপার সিক্সে প্রবেশের আশা করতে শুরু করেছে। তবে, সুপার সিক্সে যাওয়ার জন্য ইস্টবেঙ্গলকে পরবর্তী দুই ম্যাচে জয়ী হতে হবে এবং পাশাপাশি নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এবং মুম্বই সিটি এফসিকে অন্তত একটি করে ম্যাচে হারাতে হবে। ইস্টবেঙ্গলের প্লে অফ আশা রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি ম্যাচ। তবে আইএসলের চলতি মরসুমের মাঝপথেই এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের (AFC Challenge League) কোয়ার্টার ফাইনালে অভিযান শুরু করবে ক্লডিয়াস সরণির এই ক্লাব। সেখানে ৫ মার্চ ঘরের মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ তুর্কিমিনেস্তানের (Turkmenistan) দল আর্কাদাগ (FK Arkadag)।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে, শোনা যাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গল নতুন শক্তি যোগ করতে চলেছে। দলের শক্তি বৃদ্ধি করতে তারা স্কটিশ ফুটবলারদের দিকে নজর দিয়েছে। চেন্নাইয়িন এফসির তারকা ফুটবলার কোনর শিল্ডসের (Connor Shield) নাম শোনা যাচ্ছে। এই ফুটবলার মশাল ব্রিগেডের আক্রমণাত্মক শক্তিকে আরও দৃঢ় করতে পারেন, যার ফলে দল ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে। এভাবে ইস্টবেঙ্গল এখন নতুন আশায় ভরপুর এবং সুপার সিক্সে পৌঁছানোর লক্ষ্যে তারা আরও কিছু কঠিন পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।