শনির দশা কাটিয়ে মরসুমের প্রথম ট্রফির স্বাদ ইস্টবেঙ্গলে!

কলকাতা ফুটবল লিগের (CFL) প্রিমিয়ার ডিভিশনে চলতি মরসুমে এক চরম নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি তথা বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) এবং ডায়মন্ড হারবার…

East Bengal vs Diamond Harbour CFL Clash Likely on October 14, Set to Be League Decider

কলকাতা ফুটবল লিগের (CFL) প্রিমিয়ার ডিভিশনে চলতি মরসুমে এক চরম নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি তথা বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) এবং ডায়মন্ড হারবার এফসির (Diamond Harbour FC) ম্যাচকে কেন্দ্র করে জটিলতা অব্যাহত। এমন পরিস্থিতি ক্রমেই কলকাতা লিগের ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি চ্যাম্পিয়ন মশাল ব্রিগেড?

   

লাল-হলুদ শিবির এখন পর্যন্ত ১৫ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে শীর্ষে রয়েছে। তাদের জয় হয়েছে ১৩ ম্যাচে এবং ড্র ২টি। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ডায়মন্ড হারবার দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে। ক্রীড়াসূচি অনুযায়ী, ইস্টবেঙ্গলকে খেলতে হবে দুটি ম্যাচ। প্রতিপক্ষ ডায়মন্ড হারবারের এবং ভবানীপুর। তবে ভবানীপুর ক্লাব ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গলকে ম্যাচ ওয়াকওভার দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। ফলে, ডায়মন্ড হারবারের সাথে খেলা না হলে ইস্টবেঙ্গল ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। এমন অবস্থায় ডায়মন্ড হারবার কর্তৃপক্ষ ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়।

ডায়মন্ড হারবারের এই সিদ্ধান্তে কলকাতা লিগের পরিবেশ বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তাদের দাবি, ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের আরএফডিএল এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি আই লিগ টু’র ম্যাচ রয়েছে, আর এ কারণে তারা ১৪ ফেব্রুয়ারি ইস্টবেঙ্গলের সাথে খেলতে সক্ষম নয়। তাদের যুক্তি ছিল, ম্যাচের আগের দিন সন্ধ্যায় পরিবর্তনের খবর পাওয়ায় খুব কম সময়ের মধ্যে মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়। তবে আইএফএ তাদের সিদ্ধান্ত বদলাতে রাজি নয় এবং তারা ১৪ ফেব্রুয়ারির ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে আরএফডিএল কর্তৃপক্ষকে।

এই অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যখন আইএফএ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে একাধিক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি, চিঠি-পালটা চিঠির মাধ্যমে কলকাতা লিগ পরিচালনার পদ্ধতির প্রতি প্রশ্ন উঠেছে। আইএফএর সহ-সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস এবং সৌরভ পাল একাধিক বিষয় তুলে ধরেছেন তাদের চিঠিতে। তারা প্রশ্ন করেছেন, ‘‘লিগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ কি আইএফএয়ের সংবিধান অনুসরণ করে হচ্ছে? কিভাবে লিগের বিতর্কিত ম্যাচের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে আবার একই দলের ম্যাচ আয়োজন করা হচ্ছে?’’ তারা আবার কিছু ম্যাচের সন্দেহজনক পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেছেন, যেখানে ফেডারেশনের রিপোর্টে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল।

কলকাতা লিগে এই পরিস্থিতির বিকাশ নতুন সমস্যা তৈরি করছে। মাঠের বাইরে চলছে আইএফএ-এর কার্যক্রম নিয়ে এক বড় ধরনের জটিলতা। ইস্টবেঙ্গল ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে শীর্ষস্থান নির্ধারণের লড়াইয়ের পাশাপাশি, এখন আরও বড় প্রশ্ন উঠছে যে কতটা স্বচ্ছ এবং সঠিকভাবে এই লিগ পরিচালিত হচ্ছে।

এখনকার মতো, লিগে তীব্র বিতর্ক চলছে এবং একাধিক পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। অ্য়াসোসিয়েশন নিয়ম মেনে কি কলকাতা লিগ শেষ হবে? নাকি আরও বেশি বিতর্কিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে? সময় আসলে এর উত্তর দেবে, কিন্তু ফুটবলপ্রেমীরা আশঙ্কা করছেন যে, কলকাতা লিগের ভবিষ্যৎ নিয়ে যদি দ্রুত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, তাহলে এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়বে।