শুক্রবার লেবাননের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব নেজমেহ এসসিকে (Nejmeh SC) ৩-২ গোলে হারিয়ে সহজেই এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের (AFC Challenge League) কোয়ার্টার ফাইনালে (Quarter Final) পৌঁছে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal FC)। যা দীর্ঘ ১১ বছর পর এশিয়ান টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে লাল-হলুদ শিবির। ইন্ডিয়ান সুপারে লিগে (ISL) ছন্ন ছাড়া পারফম্যন্সের পর এএফসিতে বড় সাফল্য পাওয়ার রহস্য ফাঁস করলেন দলের দুই ফুটবলার, মাদিহ তালাল (MADIH TALAL) এবং দিমিত্রিয়স ডায়ামান্টাকোস (DIMITRIOS DIAMANTAKOS)।
আইএসএলে কামব্যাকের প্রত্যাশা নিয়ে বড় বার্তা অস্কারের
ইস্টবেঙ্গল বনাম নেজমেহ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় দিমিত্রিয়স ডায়ামান্টাকোসতার জোড়া গোলের মাধ্যমে দলের জয়ের পথে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বলেন, “এটি আমাদের জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত, দীর্ঘ অপেক্ষার পর এশিয়ান টুর্নামেন্টে নকআউট র্বেপ পৌঁছানো।” একইসঙ্গে লাল-হলুদের নব নিযুক্ত কোচ প্রসঙ্গে এই গ্রিক ফুটবলার বলেন, ” কোচের পরামর্শেই সাফল্য এসেছে। আইএসলের ব্যার্থতা ভুলে নতুন শুরুর বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। আমরা সেই মতো চেষ্টা করেছি চ্যালেঞ্জ লিগে।”
🇬🇷 DIMITRIOS DIAMANTAKOS ❤️💛🗣️#AFCChallengeLeague #IndianFootball #JoyEastBengal #EastBengalFC pic.twitter.com/PWMAIcx4V2
— Tᴏʀᴄʜ Bᴇᴀʀᴇʀs 🔴🟡 (@torchbearersoeb) November 3, 2024
ফ্রেঞ্চ ফুটবলার তথা মশাল ব্রিগেডের মাঝ মাঠের দায়িত্ব পালনকারী খেলোয়াড় মাদিহ তালাল জানান, “এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ থেকে প্রাপ্ত আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে এবার আইএসলেও ছন্দে ফিরতে হবে। আমরা আশাবাদী”
🇫🇷 MADIH TALAL ❤️💛🗣️#AFCChallengeLeague #IndianFootball #JoyEastBengal #EastBengalFC pic.twitter.com/ermPT8udgs
— Tᴏʀᴄʜ Bᴇᴀʀᴇʀs 🔴🟡 (@torchbearersoeb) November 3, 2024
আগামী ৯ নভেম্বর ইস্টবেঙ্গল মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে আইএসএলের মিনি ডার্বি খেলতে মাঠে নামবে। কলকাতা ফুটবল লিগ কিংবা আই লিগে দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে, কিন্তু আইএসএলে এটি তাদের প্রথম সাক্ষাৎ। এই ম্যাচটির প্রতি উভয় দলের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। মহমেডান স্পোর্টিংও সম্প্রতি নিজেদের শক্তি প্রমাণ করেছে, ফলে এই ম্যাচটি খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাদিকুদের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি মানোলো, জানালেন মনের কথা
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে ইস্টবেঙ্গলের সাফল্য তাঁদের আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দিতে পারে। এই জয় তাঁদের জন্য নতুন সুযোগের দ্বার খুলে দিয়েছে এবং দেখার বিষয় হবে, তারা কীভাবে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে। ইস্টবেঙ্গল তাদের অতীতের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবে কিনা, সেটাই এখন সবার মনে প্রশ্ন।