মঙ্গলবার বিকেলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan SG) অনুশীলন মাঠে এক অনন্য দৃশ্য দেখা গেল। যুবভারতীর আরেক অনুশীলন মাঠে ফিটনেস ট্রেনারকে সঙ্গে নিয়ে দৌড়াচ্ছেন লাল-হলুদ (East Bengal FC) তারকা ফুটবলার (Footballer) আনোয়ার আলি (Anwar Ali)। মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে গত ৬ জানুয়ারি চোট পাওয়ার পর থেকে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। তবে দীর্ঘদিন পর, শারীরিক ফিটনেস উন্নতির জন্য তিনি আবার অনুশীলনে ফিরেছেন। যা নিঃসন্দেহে সমর্থকদের জন্য এক সুখবর।
আনোয়ারের ফেরার এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল এফসির জন্য আরও এক ইতিবাচক খবর আসতে পারে। কারণ তার সাথে সাউল ক্রেসপোও রিহ্যাব শেষ করে মাঠে ফিরছেন। সাউল ক্রেসপো, যিনি টুর্নামেন্টের প্রথম লেগে চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। তিনি এখন প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ক্রেসপো একজন শক্তিশালী স্প্যানিশ মিডফিল্ডার, যার না থাকার কারণে দলের মাঝমাঠে বেশ শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। তবে এখন, তার ফিরে আসা দলের শক্তি অনেকটাই বাড়াবে, বিশেষ করে এখন যখন আনোয়ারও নিজের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটাচ্ছেন।
মশাল-ব্রিগেডের অনুশীলনে এবার আরও একজন গুরুত্বপূর্ণ মুখ ফিরে এসেছেন মহম্মদ রাকিপ। তিনি দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন, কিন্তু এবার তিনি অনুশীলনে ফিরেছেন। রাকিপের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা রক্ষণভাগে মোহনবাগানকে আরও শক্তিশালী করবে। এভাবে, কোচ অস্কার ব্রুজো তার দলের রক্ষণভাগকে আরও দৃঢ় করতে পারবেন, যা দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।
এখন, প্রশ্ন হচ্ছে, আগামী শনিবার যুবভারতীতে চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে আনোয়ার এবং ক্রেসপো কি খেলতে পারবেন? ইস্টবেঙ্গল অন্দরমহলে গুঞ্জন উঠেছে যে, কোচ অস্কার ব্রুজো দুই তারকাকে নিয়ে একেবারেই তাড়াহুড়ো করতে চান না। আনোয়ারের খেলার সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ তার শারীরিক অবস্থার পুরোপুরি পুনরুদ্ধার এখনো হয়নি। তবে সাউল ক্রেসপো চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে দলে ফিরতে পারেন, যেহেতু তার রিহ্যাব সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি আগের তুলনায় ফিট হয়ে উঠেছেন।
মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের জন্য এই ফিরে আসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, দলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি বেশ কিছু ম্যাচে তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করেছিল। আনোয়ার এবং ক্রেসপোর ফিরে আসার ফলে কোচ অস্কার ব্রুজোর কাছে নতুন করে দলে শক্তি ফিরে আসবে, বিশেষত রক্ষণভাগ এবং মাঝমাঠে। আগামী ম্যাচগুলোর দিকে তাকিয়ে দলের সামগ্রিক শক্তির উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন দেখার বিষয় হল, চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে তাদের ফিরে আসা কতটা কার্যকরী হয়। তবে যতই সময় যাচ্ছে,ইস্টবেঙ্গল তাদের পুরনো শক্তিতে ফিরতে শুরু করেছে, এবং আনোয়ার, ক্রেসপো ও রাওকিপের ফিটনেস দলের নতুন উদ্যোমের সূচনা হতে পারে।