আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আইএসএলের পরবর্তী ম্যাচ খেলতে নামবে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হবে কলকাতা ময়দানের আরেক প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে। চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সুপার সিক্সে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে ও এই ডার্বি জিতে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোই এখন অন্যতম লক্ষ্য অস্কার ব্রুজনের। তবে এক্ষেত্রে ফের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের চোট আঘাতের সমস্যা। টুর্নামেন্টের প্রথম লেগে নয় জন ফুটবলার নিয়ে লড়াই করে প্রতিপক্ষ দলকে আটকে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
তবে সেইসব এখন অতীত। আসন্ন এই দ্বিতীয় লেগের ডার্বি ম্যাচে জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছেন না অস্কার ব্রুজন। তবে ফুটবলারদের চোট সমস্যাই যেন বিরাট ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে এই প্রধানের। যারফলে প্রথম একাদশ সাজাতে গিয়ে হিমশিম খাওয়ার মত পরিস্থিতি লাল-হলুদের। বলাবাহুল্য, গত কয়েকদিন আগেই অনুশীলন চলাকালীন চোট পেয়েছিলেন দলের বিদেশ ফুটবলার রিচার্ড সেলিস। পরবর্তীতে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয়েছিল ভেনিজুয়েলার এই তারকা ফরোয়ার্ডকে। যারফলে মহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে আদৌ ও তাঁকে পাওয়া যাবে কিনা সেই নিয়ে ও তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। তবে তিনি একানন। সেলিসের পাশাপাশি জিকসন সিংকে নিয়ে ও তৈরি হয়েছিল সমস্যা।
যারফলে গত বৃহস্পতিবার দলের অনুশীলনে উপস্থিত থাকলেও টিম হাডেলের পর মাঠ ছেড়েছিলেন দুজনেই। শোনা গিয়েছিল এমআরআই রিপোর্টের উপরেই নির্ভর করবে রিচার্ড সেলিসের ডার্বি খেলার বিষয়টি। অবশেষে সেই নিয়েই উঠে আসলো নয়া তথ্য। রিপোর্ট অনুযায়ী নাকি আগামী দুইটি সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে ভেনেজুয়েলার তারকা ফুটবলার রিচার্ড সেলিসকে। যারফলে আসন্ন মহামেডান ম্যাচের পাশাপাশি পরবর্তী পাঞ্জাব এফসি ম্যাচে ও তাঁকে হয়তো মাঠে পাবেন না লাল-হলুদের হেডস্যার। যা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় ধাক্কা। এক্ষেত্রে অনেকটাই শক্তি হারাতে পারে দলের আপফ্রন্ট।
তবে সেখানেই শেষ নয়। বর্তমানে নাকি গ্ৰেড ওয়ান গ্ৰোইন ইঞ্জুরি রয়েছে জাতীয় দলের তারকা ফুটবলার জিকসন সিংয়ের। যারফলে ব্ল্যাক প্যান্থার্সদের বিপক্ষে হয়তো তাঁকে ও মাঠে পাবেন না অস্কার ব্রুজন। এই পরিস্থিতিতে দলের মাঝমাঠের দখল নেওয়ার ক্ষেত্রে আদৌও কাদের উপর ভরসা রাখেন ব্রুজন, এখন সেটাই দেখার বিষয়।